শুক্রবার জেনেভায় একগুচ্ছ চুক্তিতে সম্মতি দিল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) ১৬৪টি সদস্য দেশ। আর তার নেতৃত্ব দিল ভারত। WTO-র দ্বাদশ মন্ত্রীস্তরীয় আলোচনা ছিল এটি।গত নয় বছরের প্রথম বড় চুক্তি এটি। বাণিজ্য চুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা, সুষম বন্টন মৎস্য ভর্তুকি, এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মহামারীর নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।Covid-19 ভ্যাকসিনগুলির পেটেন্ট মুকুব সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্তও শীঘ্রই নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সই করেনি।বৃহস্পতিবার রাতে শেষ মুহূর্তে চুক্তি নিয়ে একটু অসম্মতি দেখা গিয়েছিল। মৎস্য চাষ এবং TRIPS মুকুব সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে দ্বিমত দেখা দেয়।বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের আলোচনার দক্ষতায় বিষয়টা নিয়ন্ত্রণে আসে। দুই রাতের ম্যারাথন আলোচনায় উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক সমঝোতা হয়।'সমস্ত চুক্তি সম্পূর্ণরূপে সম্মত হয়েছে এবং সর্বসম্মতিক্রমে স্বাক্ষরিত হয়েছে। অস্থায়ী পেটেন্ট (ট্রিপস) মুকুবের সিদ্ধান্ত শীঘ্রই প্রত্যাশিত। আমরা কেবল মার্কিন অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছি,' জানিয়েছেন জেনেভার এক সরকারি সূত্র।সূত্রের খবর, জেনেভায় মন্ত্রী পর্যায়ের মাধ্যমে আলোচনার তদারকি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ভারত তার জেলেদের ভর্তুকি বাড়ানোর অধিকার রক্ষা করে। শেষ মুহূর্তে মত্স্য চুক্তি থেকে বিতর্কিত ধারাগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে, ভারত ইলেকট্রনিক আমদানির উপর শুল্কের স্থগিতাদেশে ১৮ মাসে সময় বাড়িয়ে নিয়েছে। ভারত সেখানে যুক্তি দিয়েছিল যে, এটি ধনী দেশগুলির সুবিধা হলেও উন্নয়নশীল দেশে সমস্যা হবে।সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত চুক্তির মাধ্যমে এই প্রথমবার অতিরিক্ত মাছ ধরা, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা, এবং অবৈধ, অপ্রতিবেদিত এবং অনিয়ন্ত্রিত (IUU) মাছ ধরার উপর নিয়ম চালু করা হয়েছে।খাদ্যশস্যের মজুদদারি নিয়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য ভারত দাবি জানিয়েছে। সেটা নিয়ে পরবর্তী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোভিড ভ্যাকসিনের পেটেন্ট মুকুবের চুক্তির ফলে, ভারত এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলি মূল নির্মাতার অনুমতি ছাড়াই ভ্যাকসিন তৈরি এবং রপ্তানি করতে পারবে। এর ফলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য অন্যান্য অভাবী দেশে টিকা রপ্তানি করার অনুমতি মিলবে। নয়াদিল্লির বিশ্বাস, এর ফলে দেশের বিভিন্ন সংস্থাগুলি উত্পাদনের উদ্দেশ্যে আরও কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হবে।