ইতিমধ্যেই যৌথ সংসদীয় কমিটির অনুমোদন মিলেছে। এই আবহে আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সংসদে পেশ করা হতে পারে ওকাফ বিল। আসন্ন বাজেট অধিবেশনে মোট ১৬টি বিল সরকার পেশ করতে পারে বলে একটি তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই তালিকায় ৭ নম্বর স্থানে আছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪। এরপর তালিকায় ৮ নম্বরে আছে মুসলমান ওয়াকফ (প্রত্যাহার) বিল ২০২৪। এরই সঙ্গে এই তালিকায় আছে ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২৪; রেল (সংশোধনী) বিল ২০২৪; অভিবাসন এবং বিদেশি বিল, ২০২৫। (আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, আছেন অক্সিজেন সাপোর্টে)
আরও পড়ুন: একদিনে ৭.৫ কোটি ভক্তের সমাগম, মহাকুম্ভে ডিউটি করতে গিয়ে মৃত্যু পুলিশকর্মীরও
এর আগে ওয়াকফ বিলের যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে ২৭ জানুয়ারি যৌথ কমিটিতে এই বিল অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের ওপর রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল যৌথ সংসদীয় কমিটির। তবে রিপোর্ট পেশের জন্যে সময়সীমা বাড়িয়েছিল কমিটি। এই আবহে ১৩ ফেব্রুয়ারি (বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের শেষ দিন) পর্যন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা পায় কমিটি। এরই মাঝে ক'দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মোট ১০ সাংসদকে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। (আরও পড়ু: জর্জ সোরোসের ছেলের সঙ্গে বৈঠক ইউনুসের, ঢাকার মাটিতে কী নিয়ে ছক কষা হল?)
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের অগস্টে ওয়াকফ বিলের যে খসড়া আদালতে পেশ করা হয়েছিল, তার থেকে ১৪টি বদল এনে এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিলে ৪৪টি সংশোধনীর প্রস্তাব করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। তবে সেই প্রস্তাবের একটিও গ্রহণ করা হয়নি। এই নিয়ে কমিটির প্রধান জগদম্বিকা পাল জানান, বিরোধী সাংসদরা মোট ৪৪টি সংশোধনী জমা দিয়েছিলেন। বিরোধীদের সংশোধনীর পক্ষে ১০টি ভোট পড়েছিল। এবং ১৬টি ভোট বিপক্ষে পড়েছিল। তাই সেগুলি গ্রহণ করা হয়নি। তবে ১৪টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে কমিটির বৈঠকে বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। যা কমিটিতে গৃহীত হয়। এর জেরে কল্যাণ ছাড়াও সাসপেনশনের মুখে পড়েছেন এআইএমআইএম প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, নাসের হুসেন, মহম্মদ জাভেদ, এ রাজা, অরবিন্দ সাওয়ান্ত, নাদিম-উল-হক, ইমরান মাসুদ, মোহিবুল্লাহ এবং মহম্মদ আবদুল্লা। যদিও বিরোধীদের পালটা দাবি, ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল নিয়ে অহেতুক তাড়াহুড়ো করেছিলেন মিটির চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তারপর ৮ অগস্ট সেই বিলটি পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। যে বিলের মাধ্যমে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনকে সংশোধনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তি সামলানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে ওই বিলের মাধ্যমে।