খেলনা ভেবে সাপকেই চিবিয়ে মারল ছোট্ট খুদে। ডাক্তারের কাছে তড়িঘড়ি নিয়ে যেতে ডাক্তাররাও হতবাক। বিহারের গয়া জেলা থেকে এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই খুদের বয়স মাত্র এক বছর। অজান্তেই এদিন একটি সাপের সঙ্গে খেলতে শুরু করেছিল। এমনটা ভাবলে হয়ত একজন একজন সাধারণ মানুষের গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাবে। খেলা তো দূরের কথা, সাপের ধারে কাছে যেতে গিয়েও, হার্ট ফেল হওয়ার জোগাড় হতে পারে। সেখানে দাঁড়িয়ে বাচ্চাটি নাকি সাপটিকে সরাসরি মুখে পুড়ে চিবিয়ে দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই ঘটবাতি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: (এমনও হয়? কুকুরে কামড়ানোর পর অদ্ভুত আচরণ মধ্যপ্রদেশের যুবকের, চিন্তায় চিকিৎসকরা)
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন
তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ই অগস্ট। গয়া জেলার ফতেহপুর থানা এলাকার জামুহার গ্রামে বসবাসকারী রাকেশ কুমারের এক বছরের ছেলে রিয়াংশ খেলতে গিয়ে একটি সাপকে চিবিয়ে মেরে ফেলে। বলা হচ্ছে, এক বছরের ছোট্ট রিয়াংস এদিন তার বাড়ির ছাদে খেলছিল। তখন সাপটি তার কাছে আসে। সে সাপটিকে খেলনা ভেবে হাতে ধরে নেয়। এরপর খেলতে শুরু করে। বাচ্চাটার এমনিতেই কোনও জিনিস হাতে পেলে মুখে দেয়, রিয়াংসও তাই করেছিল। খেলার সময় সে সাপটিকে চিবিয়ে দিয়েছিল। এতে ঘটনাস্থলেই সাপটি মারা যায়।
কেমন আছে শিশুটি
পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে, ভয় পেয়ে যায়। দ্রুত শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি শিশুটির চেকআপ করতে থাকেন। এরপরেই অবাক হয়ে যান তাঁরাও। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভয়ের কিছু নেই, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তবে চিকিৎসকের এমন কথায় অবাক পরিবারের সদস্যরাও। এ কথা তাঁরা একেবারেই বিশ্বাস করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: (Kolkata Municipality: ফুটপাত ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হকারদের, মাঠে নামল কলকাতা পৌরসভা)
ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখুন এখানে
ভাইরাল ভিডিয়োতে বাচ্চাটিকে দেখা গিয়েছে। মায়ের কোলে বসেছিল সে। উপস্থিত সকলে তার মুখ খোলানোর চেষ্টা করছিলেন। যদিও সফল হননি।
এরপর ডাক্তার মৃত সাপটিকে দেখে জানিয়েছে, সাপটি বিষাক্ত নয়। ডাক্তাররা আরও বলেছেন, বর্ষার দিনে এই সাপ প্রায়ই দেখা যায়। কিছু সাপ বিষাক্ত, তবে যেটি নিয়ে শিশুটি খেলছিল তা একটাই বিষাক্ত ছিল না। এ কারণে শিশুর কোনও ক্ষতি হয়নি।
বিহার থেকে সাপ সম্পর্কিত আরও একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছিল গত জুলাই মাসে।।বিহারের রাজৌলিতে এক ব্যক্তিকে সাপ কামড়ানোয়, ওই ব্যক্তিও দু' বার গিয়ে ওই সাপকে কামড়ে দিয়েছিলেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে এইভাবে বিষের প্রভাব দূর হবে। এই ঘটনায় সাপটি মারা যায়, লোকট চিকিৎসার পর সে বেঁচে গিয়েছিলেন।