আজ, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। এই নিয়ে বাংলার ক্ষোভ আছেই। কারণ বাংলাকে এবারও বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় বাজেটে কোনও আলো দেখতে পাননি। শুধুই অন্ধকার রয়েছে এই বাজেটে। কারণ বাংলার কপালে কিছু জোটেনি। আর আগামীকাল, বুধবার এই বাজেটের উপর আলোচনা আছে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে প্রথম বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এই বাজেট নিয়ে খুশি নন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কথা তিনি আজ জানিয়েও দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাজেট নিয়ে মোদী সরকারকে প্রথম আক্রমণ করবেন অভিষেক। এই বাজেটের ব্যাখ্যায় অভিষেক টেনে এনেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর তাই সরগরম হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। এখন অভিষেক নযাদিল্লিতেই আছেন। বুধবারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার ফাঁকে আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে অভিষেক বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কদিন আগে যে কথা বলেছিলেন, আজকের বাজেটে সেটাই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’ অর্থাৎ শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ বলার দরকার নেই। বলতে হবে, জো হমারি সাথ, হম উনকে সাথ।’
এনডিএ সরকারের সঙ্গে আছে টিডিপি এবং ডেজিইউ। চন্দ্রবাবু নাইডুর দল ও নীতীশ কুমারের দল এখন জোটসঙ্গী। তাই এই দুই রাজ্য পেয়েছে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ। তাই যারা বিজেপির সঙ্গে আছে তাদের সঙ্গে বিজেপি আছে এটাই প্রমাণ হয়েছে। সেটাই প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিলিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্যের সঙ্গে। সুতরাং আগামীকাল বুধবার সংসদ যে সরগরম হবে সেটা এখন থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে। অভিষেকের বক্তব্য, ‘সরকার বাঁচাতে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। যারা সঙ্গে রয়েছে, তাদের জন্যই কেবল বরাদ্দ। কোনও রাজ্যের বরাদ্দের নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কেন বাংলাকে বারবার বঞ্চিত করা হবে?’
আরও পড়ুন: বাজেটে বিরাট বরাদ্দ বাড়ল ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে, টাকার অঙ্ক কোথায় পৌঁছল?
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেটকে জিরো ওয়ারেন্টি এবং জিরো গ্যারেন্টি বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদ ভবন চত্বরে অভিষেকের কথায় এই বাজেট, ‘বিজেপি জমানায় বাংলা ক্রমাগত বঞ্চিত এবং নিপীড়িত হয়েছে। এবার বাংলা থেকে ১২ জন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপরও বাংলার জন্য কোনও বরাদ্দ নেই। সরকার টিকিয়ে রাখতে শরিকদের উপঢৌকন দেওয়া হয়েছে।’ তাই বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে কেমন ঝড় তোলেন সেদিকেই তাকিয়ে থাকবেন সকলে।