তামিলনাড়ুর পর এবার মহারাষ্ট্র। দেশে ভাষা প্রতিবাদের পরিধি বাড়ছে। আর সেই প্রতিবাদের হাত ধরেই পুনর্মিলন হচ্ছে ঠাকরে পরিবারে। সম্পৰী মহারাষ্ট্র সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি পড়া বাধ্যতামূলক। এরই প্রতিবাদে একজোট হচ্ছেন দুই ভাই উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ ঠাকরে।প্রায় দুই দশকের তিক্ত বিচ্ছেদের পর একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র এবং মারাঠি ভাষার স্বার্থ রক্ষার জন্য উভয় নেতাই মতভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনা মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন মোড় আনতে পারে। (আরও পড়ুন: কট্টরপন্থীদের মন পেতে ঢাকায় মন্দির ভাঙল ইউনুসের সরকার, কী বলছে ভারত?)
আরও পড়ুন: নিজেদের দোষ ঢাকতে আজব দাবি, চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় 'র' দেখতে পায় বাংলাদেশিরা
জানা গেছে, আগামী ৬ এবং ৭ জুলাই পৃথক ভাবে প্রতিবাদে শামিল হবেন উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ ঠাকরে। মহারাষ্ট্রে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়াদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে হিন্দি। এই সিদ্ধান্তকে ভাষা ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা বলে বর্ণনা করেন শিবসেনা (ইউবিটি)-র প্রধান উদ্ধব। তাই ৭ জুলাই আজাদ ময়দানে আয়োজিত মিছিলে অংশ নেবেন তিনি। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার তরফে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে ৬ জুলাই। সেখানে সব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ। তবে পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেছেন, কোনও পতাকা রাখা উচিত হয়। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে মহারাষ্ট্রের স্বার্থেই। (আরও পড়ুন: ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ-পাক-চিন, কী ছক কষছে ৩ দেশ? 'জোট' নিয়ে যা বলল ভারত)
আরও পড়ুন: নিজেকে 'নতুন বাংলাদেশের জনক' বানাতে গিয়ে শিষ্যদেরই ক্ষোভের মুখে ইউনুস
শিবসেনা (ইউবিটি)-প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যে 'ভাষাগত জরুরি অবস্থা' ঘোষণা করার মতো। তাঁর দল হিন্দি ভাষা বিরোধী নয়,তাঁরা মহারাষ্ট্রে জোর করে এই ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, হিন্দি ভাষা আরোপ করে সরকার তাদের রাজনীতির জন্য মারাঠি এবং হিন্দিভাষী জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। তাঁর কথায়, 'হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া মানে মহারাষ্ট্রে তাদের স্বৈরাচারী শাসন আনার জন্য ভাষাগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা। যদিও আমরা হিন্দিকে ভাষা হিসেবে ব্যবহার করার বিরোধিতা করছি না, বরং হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করব এবং মহারাষ্ট্রে তা হতে দেব না।' তবে উদ্ধব এমএনএস সমাবেশে যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি অভিযোগ করেন,'বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছিলেন যে দেশে কেবল একটি রাজনৈতিক দল থাকবে। তাদের আদর্শ হল এক জাতি, এক নেতা। হিন্দি চাপিয়ে মহারাষ্ট্রে স্বৈরাচারী শাসন তৈরির সেই গোপন এজেন্ডার অংশ। মহারাষ্ট্রের মানুষ এখন বুঝতে পারবে কেন তারা মারাঠি জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য গঠিত শিবসেনাকে ভেঙে দিয়েছে।' (আরও পড়ুন: কাটল জট, জায়গা দিল রাজ্য, দক্ষিণ কলকাতায় তৈরি হবে নয়া মেট্রো স্টেশন)
আরও পড়ুন-রিল বানাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! বেঙ্গালুরুতে ১৩ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু তরুণীর
অন্যদিকে রাজ ঠাকরে বলেন, 'তাঁর প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কোনও পতাকা থাকবে না। এটি মারাঠিদের সমাবেশ হবে এবং তারা এতে নেতৃত্ব দেবেন। আমি সাহিত্যিক, অভিভাবক এবং ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলব, তাদের যোগ দিতে বলব। সরকারের জানা উচিত মহারাষ্ট্র কী চায়। মহারাষ্ট্রের উচিত তার পূর্ণ শক্তি প্রদর্শন করা। আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কথা বলব। মহারাষ্ট্রে মারাঠির গুরুত্ব হ্রাস করার ষড়যন্ত্র চলছে।' শিবসেনা (ইউবিটি) নেতাদেরও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন কিনা সে সম্পর্কে রাজ ঠাকরে বলেন, 'সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। মহারাষ্ট্র যে কোনও লড়াইয়ের চেয়ে বড়। রাজনৈতিক দল ছাড়াও, আমি দেখতে চাই কারা আসে এবং কারা না আসে।'
আরও পড়ুন-রিল বানাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! বেঙ্গালুরুতে ১৩ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু তরুণীর