পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা পুলিশের জালে। এরপর দেশ জুড়ে একের পর এক জায়গা থেকে জঙ্গি সন্দেহে ও নাশকতার ক্ষেত্রে জঙ্গিদের সাহায্যের অভিযোগে পর পর ধরপাকড় চলছে। দক্ষিণ ভারতের শহর হায়দরাবাদ থেকে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে ২ আইএস জঙ্গি। অন্যদিকে, উত্তরে কাশ্মীরের সোপিয়ান জঙ্গিদের মদতদাতা ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কাশ্মীরে গ্রেফতার কারা?
জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের ২ সহায়ককে গ্রেফতার করেছে সিআরপিএফ ও সেনার যৌথ বাহিনী। শোপিয়ানের ডিকে পোরা থেকে এই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছে একাধিক অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। যৌথ বাহিনীর অপারেশনে দু'টি পিস্তল, চারটি গ্রেনেড, ৪৩ টি লাইভ রাউন্ড সহ একাধিক জিনিস উদ্ধার হয়েছে। এই দুই ধৃতের সঙ্গে কোন কোন জঙ্গির যোগ ছিল? এরা ঠিক কী কী কাজ করত, তা নিয়ে আরও তদন্ত চলবে বলে জানা যাচ্ছে।
( ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদের! পাকবিদেশমন্ত্রী চললেন কোন দেশে? কাদের সঙ্গে মিটিং!)
( হাসিনার দেশ ছাড়ার এক বছরের মধ্যে আদৌ কি বাংলাদেশে ভোট হবে? মুখ খুললেন ইউনুস)
হায়দরাবাদ থেকে ধৃত ২:-
এদিকে, রবিবার নিজামের শহর হায়দরাবাদ থেকে ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এরা আইএসআইএস-র সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। দেশের তাবড় শহর হায়দরাবাদের বুকে বিস্ফোরণের ছক ছিল এই ২ জঙ্গির, বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন ২৯ বছর বয়সী সিরাজ উর রহমান, অন্যজন, ২৮ বছরের সইদ সমির। অন্ধ্রপ্রদেশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সেল ও তেলাঙ্গানা পুলিশ যৌথ অভিযানে নেমে এদের পাকড়াও করে। বাহিনীর কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল সিরাজ উর রহমানকে নিয়ে। বাহিনী জানতে পেরেছিল সে ভিজিয়ানগরমে গা ঢাকা দিয়েছে। প্রথমেই সেখানে গিয়ে সিরাজ উর রহমানকে গ্রেফতার করে বাহিনী। এরপর হায়দরাবাদের বুক থেকে সমির গ্রেফতার হয়। জানা যাচ্ছে, সন্দেহভাজনদের বাড়ি থেকে পুলিশ অ্যামোনিয়া, সালফার এবং অ্যালুমিনিয়াম পাউডার সহ বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছে। প্রসঙ্গত ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলা এবং পাকিস্তানের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরপরই এমন পর পর ধরপাকড় করা হচ্ছে। এর মধ্যেই কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে স্লিপার সেলগুলিকে সক্রিয় করার চেষ্টা করা হতে পারে, ফলত সেই বুঝে চলছে পাকড়াও অভিযান।