উৎপাতে অতিষ্ঠ! ১০ লক্ষ কাক মারাতে বিদেশ থেকে বিষ আমদানি করবে সরকার

দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করছে কাক। সেই সমস্যার সমাধানে চলতি বছরের শেষে ১০ লক্ষ কাক মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেনিয়ার সরকার। দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় কাকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে কেনিয়া সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।আরও পড়ুন - বিহারে প্রশ্নফাঁসে বাংলা থেকে গ্রেফতার ৩, যোগ থাকতে পারে নিট দুর্নীতিরওপড়তে থাকুন - মনে রাখতে হবে পৃথিবীটা গোল, শপথ জটিলতা নিয়ে বিমানকেই দুষলেন শুভেন্দু কেনিয়ার বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত দফতরের আধিকারিক চার্লস মুসিওকি বলেন, ‘কেনিয়ার উপকূলবর্তী এলাকায় কাকের উপদ্রব খুব বেড়েছে। যার জেরে সেখানকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কাক নিয়ন্ত্রণে কেনিয়ার প্রশাসন বদ্ধপরিকর।’ তিনি জানান, কাক মারতে নিউ জ়িল্যান্ড থেকে বিশেষ ধরণের বিষ আমদানি করছে কেনিয়ার সরকার। ১০ লক্ষ কাক মারতে প্রায় ১০ কেজি বিষ কিনছে তারা। প্রতি কেজি বিষের দাম ৬ হাজার মার্কিন ডলার। সেই বিষ দেওয়া হবে উপকূল লাগোয়া হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকদের। তাকা মাংসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে আবর্জনা ফেলার জায়গায় রেখে আসবেন। সেই মাংস খেলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হবে কাকগুলি। কেনিয়া সরকারের দাবি এতে কাক মরলেও অন্য পাখিদের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না।আরও পড়ুন - সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে সতর্ক করেছিলে, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছেই এল ছাত্রীদের নগ্ন ছবিকেনিয়ার উপকূলবর্তী এলাকায় কাকের সংখ্যা একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় রয়েছে প্রচুর হোটেল ও রিসর্ট। যেখানে বছরে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভ্রমণ করেন। যার ওপর অনেকটা নির্ভর করে দেশটির অর্থনীতি। অভিযোগ, পর্যটক ও হোটেলগুলির আবর্জন খেয়েই ফুলে ফেঁপে উঠছে কাকের বংশ। অনেক চেষ্টা করেও তাদের দমাতে পারছে না দেশটির সরকার। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাকেরা এতটাই বেপরোয়া যে পর্যটকদের হাত থেকে ছোঁ মেরে খাবার নিয়ে যায়। নোংরা করে এলাকা। কাকের নির্যাতনে স্থানীয় পাখিগুলি প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। এমনকী হাঁস – মুরগি পালন করা যাচ্ছে না এলাকায়। কাকের উৎপাতে এলাকার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে পর্যটন শিল্পই যখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস।