রাখির সঙ্গে মণীশের প্রেম ছিল। কিন্তু, দুজনের পরিবার সেই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। আবার তারা একে অপরকে ছেড়ে থাকতেও পারছিলেন না। সেই কারণে যুগল আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রাখির সঙ্গে দেখা হয় মণীশের।
উত্তরপ্রদেশে আত্মঘাতী যুগল। প্রতীকী ছবি
প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। বিয়েতেও রাজি হয়নি। তাই পরিবারের অমতে গিয়ে একে অপরকে বিয়ে করে আত্মঘাতী হল যুগল। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বহসুমা থানা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত যুবকের নাম মণীশ চৌহান (২৪)। তিনি উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের বাসিন্দা এবং মৃত যুবতীর নাম হল রাখি চৌহান (২১)। তিনি উত্তরপ্রদেশের বুধনগর এলাকার বাসিন্দা। তারা একসঙ্গে গলায় দারি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একটি গাছে তাদের তাদের ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাখির সঙ্গে মণীশের প্রেম ছিল। কিন্তু, দুজনের পরিবার সেই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। আবার তারা একে অপরকে ছেড়ে থাকতেও পারছিলেন না। সেই কারণে যুগল আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রাখির সঙ্গে দেখা হয় মণীশের। এরপর যুবক রাখির কপালে সিঁদুর পরিয়ে তাকে মিষ্টি খাওয়ায়। তারপরেই দুজনে একটি গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা একটি দড়িতে দুটি ফাঁস বানিয়েছিল। এরপর সেটি গাছের সঙ্গে বেঁধে আত্মহত্যা করেন। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দুজনই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখান থেকে সিঁদুর ও মিষ্টির বাক্স পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ফাঁসির কারণে শ্বাসরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুজন প্রায় একই সময়ে মারা যান। সোমবার দুজনের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেহ দাহ করেন।