আরজিকর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। পরবর্তী সময়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। তবে এবার সামনে কসবা কাণ্ড। কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। একেবারে ভয়াবহ অভিযোগ। তবে এবার আর সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইছেন না বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়েছেন, আজকে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী এই সব দিলেই মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়া হয়ে যাচ্ছে! মমতা ব্যানার্জি আপনার মনে হয়, এই মেয়েটি তো আপনার দলের সম্পাদিকা ছিলেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। আপনি তাকে সুরক্ষা দিতে পারছেন না আপনি কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে সুরক্ষা দেবেন? নিজের মেয়েদের সুরক্ষা দিতে পারেন না পশ্চিমবঙ্গের বাকিদের কীভাবে সুরক্ষা দেবেন। অগ্নিমিত্রা বলেন, রাজ্য পুলিশই তদন্ত করুক। আমাদের করের টাকা বেতন পায় যে পুলিশ সেই পুলিশই তদন্ত করুক। এটাই আমরা চাই।
সাউথ ক্যালকাট ল কলেজ। আইন কলেজের গার্ড রুমের মধ্য়েই এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীর সহায়তা চেয়েও তিনি পাননি বলে অভিযোগ। এমনটাই উল্লেখ করেছিলেন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার প্রশ্ন তবে কি অভিযুক্ত মনোজিতের দাপট এতটাই বেশি ছিল যে নিরাপত্তারক্ষীকেও দাবিয়ে রাখত সে?
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। সে আবার সেই আইন কলেজেরই অস্থায়ী কর্মী। তার বিরুদ্ধেই এবার ভয়াবহ অভিযোগ।
তবে এই ঘটনায় কিন্তু আর সিবিআই তদন্তের দাবি তুলছে না বিজেপি।
তবে এবার প্রশ্ন উঠছে তবে কি আরজিকর কাণ্ডে সিবিআইয়ের কথা বলে মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপির?
অগ্নিমিত্রা বলেন, আরজি কর কেসে সিবিআই সফল নয় এটা নিয়ে একমত। আমি সিবিআই চাইছি না। আমার মাইনের টাকায় পুলিশ আছে। তারা কি খালি তোলাবাজি করবে? মমতা ব্যানার্জির পুলিশ এত বড় বড় কথা বলে সেই পুলিশকেই তদন্ত করতে হবে। পুলিশই তদন্ত করুক। না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ইস্তফা দিন। বলেন অগ্নিমিত্রা পাল।
আর একথা শুনে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। অগ্নিমিত্রা পাল কী বললেন তার উপর কিছু নির্ভর করে না।
এবার কসবাকাণ্ডের তদন্তে স্পেশাল ইনভেশটিগেশন টিম তৈরি করল লালবাজার। ৫সদস্যের এসআইটি গঠন করেছে লালবাজার। এই বিশেষ তদন্তকারী টিমের মাথায় রয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক।
ইতিমধ্য়েই ৫ সদস্যের টিম এই গণধর্ষণের তদন্তে নামবে।