
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলায় নাম জড়িয়েছিল কানাডার ব্যবসায়ী তাহাউর রানার। এহেন রানাকে ভারতে আনার চেষ্টা চলছিল। তবে ২০২৩ সালে মার্কিন আদালতে রানাকে ভারতে নিয়ে আসার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মার্কিন সরকার এবার তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিতে পারবে। এই আবহে এই জঙ্গিকে ভারতে নিয়ে আসতে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত। এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ' মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার অভিযুক্তদের ভারতে দ্রুত প্রত্যর্পণের জন্য পদ্ধতিগত বিষয়ে মার্কিন পক্ষের সাথে কাজ করছি আমরা।' (আরও পড়ুন: Sensex LIVE: বাজেটের আগে চড়ল সেনসেক্স, কোন শেয়ারের দাম বাড়ল, কমল কোনগুলি?)
আরও পড়ুন: Budget LIVE: সংসদে পৌঁছলেন নির্মলা, তাঁর শাড়িতে লুকিয়ে বাজেটের 'ইঙ্গিত'
উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৭ সালে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আবহে ভারতের অনুরোধে আমেরিকার প্রশাসন রানাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০১১ সালে শিকাগোর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল রানা। তার বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগ ছিল। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানার বন্ধু পাকিস্তানি-আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি। এই আবহে ২০২৩ সালের মে মাসে একটি মার্কিন আদালত পাক বংশোদ্ভূত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রানা আবেদন করেছিল। তারপর রানার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। (আরও পড়ুন: টাকার দাম কমেছে ২.৯%, তাও কানাডার মতো দেশকে 'হারিয়েছে' ভারত: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে পূণ্যার্থীদের মৃত্যুর রেশ বারাণসীতে, বন্ধ গঙ্গা আরতি!
তবে ২১ জানুয়ারি তাহাউর রানার প্রত্যর্পণে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকার শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানা ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরেই সওয়াল করে আসছিল নয়াদিল্লি। ভারতের দাবি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার এই নাগরিকই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার ঘটনায় অন্যতম চক্রী। তাই ভারতের বিচারব্যবস্থার অধীনেই তাঁর বিচার হওয়া উচিত। তবে গত ১৬ ডিসেম্বর মার্কিন সলিসিটর জেনারেল এলিজাবেথ বি প্রিলগার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন, যাতে শীর্ষ আদালত রানার আবেদন খারিজ করে দেয়। এদিকে রানার আইনজীবী ২৩ ডিসেম্বর সরকারের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান, যাতে এই মামলায় রানার রিট পিটিশন গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালত রানার আবেদনের বিরুদ্ধেই রায় ঘোষণা করে দেয়। (আরও পড়ুন: মোদীর মার্কিন সফর নিয়ে কাজ করছে উভয় পক্ষই, জানাল বিদেশ মন্ত্রক)
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের মুম্বই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ১৬৬ জনের। যাঁদের মধ্যে ছ'জন মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। হামলা চালিয়েছিল ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি। যাদের মধ্যে ৯ জনকে নিকেশ করা হয়। পরে মামলার পরে ফাঁসি হয় আজমল কাসভের।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports