সদ্য বিহারের নালন্দায় বিষমদ কাণ্ডের জেরে একাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে। ঘটনা ঘিরে তদন্তের নির্দেশও দেয় নীতীশ কুমার সরকার। এদিকে, এই পরিস্থিতির মাঝেই বিহারের মদ্যপানের পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে ছয় জনের মৃত্যুর ঘিরে ফের একবার বিষমদ কাণ্ডের আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে বক্সার এলাকাকে। এই ঘটনা নিয়ে গত নভেম্বর থেকে বিহারে পাঁচটি বিষমদকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।উল্লেখ্য, বিহারে মদ্যপান নিষিদ্ধ করার উদ্দেশে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নীতীশ সরকার। সরকারের তরফে চলেছে কঠোর অভিযান। বিভিন্ন জায়গায় সভা করে খোদ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও মদ্যপান বিরোধী প্রচারে শামিল হয়েছেন। এদিকে, তারই মাঝে বিহারের বক্সারের আমসারি গ্রামে ছয় জনের মৃত্যু বিষ মদ পান করে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ, বিষমদ পান করেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বয়স ৩০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। গ্রামবাসীদের সূত্রে খবর, ছয় জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৩ জন এখনও গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিহারের বক্সারের দুমরাওঁ সাব ডিভিশনের এই গ্রামের ঘটনা ঘিরে এলাকার অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনা বিষমদ কাণ্ডের জেরেই হয়েছে। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাস থেকে ধরলে এই ঘটনা পঞ্চম এমন সম্ভাব্য বিষমদ কাণ্ড। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই তিনটি এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যেখানে মদ্যপানের পরই এসেছে মৃত্যুর খবর। গত ১৩ জানুয়ারি নালন্দা, ১৮ জানুয়ারি সারানের পর এবার ২৬ জানুয়ারি বিহারের বক্সারে এমন ঘটনা ঘটল। বক্সারের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সুখু মুসার, শিবমোহন যাদব, ভৃগু সিং, মিকু সিং, রঞ্জিত রাম ও আনন্দি কুমারের। মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়স ছিল ৬০ বছরের সুখু কুমারের। সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন ৩০ বছরের আনন্দি কুমার সিং। জানা গিয়েছে সুখু কুমারের স্ত্রী তেত্রী দেবীও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মদ্যপানের পর। তিনি আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বক্সারের এসপি নীরজ কুমার সিং ঘটনাস্থলে যান ও পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। জেলা প্রশাসন একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।