আদিত্য নাথ ঝা
ভারত নেপাল সীমান্তে পাচারকারীদের সঙ্গে এসএসবির গুলির লড়াই। বিহারের আরারিয়া জেলায় সোমবার সকালের ঘটনা। এই ঘটনায় এসএসবির ৫৬ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডান্ট ও দুজন জওয়ান আহত হয়েছেন। আহত কমান্ডান্টকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটনাতে রেফার করা হয়েছে। একজন পাচারকারীও জখম হয়েছে এই ঘটনায়। তাদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে কিষানগঞ্জে ভারত-নেপাল সীমান্তে দিন তিনেক আগে পাচারকারীদের গুলিতে এক বিএসএফ জওয়ান আহত হয়েছিলেন। এরপর তাকে পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই রেশ ফুরানোর আগে ফের বিহারে পাচারকারীদের হাতে আক্রান্ত সুরক্ষাবাহিনী।
আহত কমান্ডান্টের নাম সুরেন্দ্র বিক্রম। তাঁকে পটনাতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রেফার করা হয়েছে। আহত অন্য় দুই জওয়ানের সামান্য আঘাত লেগেছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, কমান্ডান্টের শরীরে এখনও বুলেট রয়েছে। তাঁকে পটনাতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ওই পাচারকারীর চিকিৎসাও চলছে। সে আপাতত বিপদমুক্ত।
আরারিয়ার পুলিশ সুপার অশোক কুমার সিং এই ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘুরনা পুলিশ আউটপোস্ট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাচারকারীদের ধরতে এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চলছে।
এসএসবি সূত্রে খবর, সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করা হচ্ছে এই খবর পেয়ে কমান্ডান্ট সীমান্তে যান। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। আর তখনই পাচারকারীরা তাকে নিশানা করে গুলি চালায়। তার মধ্যে একটি গুলিতে তিনি আহত হন। এরপর পালটা গুলি চালায় এসএসবি। আর তখনই এক পাচারকারী আহত হন।
এসএসবির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইন্দো নেপাল বর্ডার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের যোগসাজশে এই ধরনের পাচার চলে। সেক্ষেত্রে এটা খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে সেক্ষেত্রে পাচারকারীদের চিহ্নিত করাটা সহজ ব্যাপার নয়।
সম্প্রতি বিহারের মধুবনী জেলায় চোলাই মদ ভর্তি একটি গাড়ি এক এসএসবি জওয়ানকে চাপা দিয়ে বেরিয়ে যায়। তার নাম দেবরাজ শর্মা। শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফ জওয়ানকে নিশানা করে গুলি চালায় পাচারকারীরা। সেই গুলিতে একজন জওয়ান আহত হয়েছেন।