রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আজ সংসদের উভয় কক্ষকে সম্বোধন করে ভাষণ দিয়ে বাজেট সেশনের সূচনা করলেন। সেই ভাষণের পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে দ্রৌপদী মুর্মুকে 'পুওর থিং' (বেচারি) বললেন সোনিয়া গান্ধী। এরই সঙ্গে অবশ্য কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'এই লম্বা ভাষণ দিয়ে তাঁকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল'। এদিকে সোনিয়ার এই মন্তব্যের পরই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। (আরও পড়ুন: মোদী ৩.০-তে ৩ গুণ গতিতে কাজ... বললেন রাষ্ট্রপতি, 'প্রেমপত্র পড়ছিলেন' ভাষণের কটাক্ষ সাংসদের)
আরও পড়ুন: বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার, ২৫-২৬ অর্থবর্ষে কত গতিতে ছুটবে ভারত?
ঠিক কী বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধী? তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রপতি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন শেষের দিকে। তিনি আর বলতেই পারছিলেন না প্রায়। বেচারি।' এদিকে সেই সময় পাশ থেকে রাহুল গান্ধীকে তাঁর মাকে সাহায্য করতে দেখা যাচ্ছিল। মাকে কথা ধরিয়ে দিয়ে রাহুলকে বলতে শোনা যাচ্ছিল, 'বোরিং? নো কমেন্টস? একই কথা বারবার বলছিলেন?' (আরও পড়ুন: এবারের বাজেটে গরিব ও মধ্যবিত্তদের জন্য থাকবে 'বড় উপহার'? কোন ইঙ্গিত মোদীর?)
আরও পড়ুন: ইউনুসের মাথায় হাত? আমেরিকার পর এবার বাংলাদেশের সাহায্য বন্ধ করছে আরও এক দেশ
এদিকে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'এটি একটি অবমাননাকর মন্তব্য ছিল। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর মতো নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে... দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী পরিবারের মহিলা এবং এখন তিনি আমাদের দেশের পয়লা নম্বর নাগরিক এবং কংগ্রেসের জমিদারি মানসিকতা এটি গ্রহণ করতে পারে না। তাই তাঁরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করছে।' (আরও পড়ুন: মোদী জমানায় আগের বাজেটগুলিতে সেনসেক্স বেড়েছিল নাকি কমেছিল? একনজরে 'ট্রেন্ড')
আরও পড়ুন: 'হিন্দুদের বিরুদ্ধে গোঁড়ামি…', বিস্ফোরক তুলসি, জবাব মোদী ঘনিষ্ঠতা ইস্যুতে
এদিকে আজকের ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে বলেন যে, দেশ দ্রুত গতিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কেন্দ্রে মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদে দেশে তিন গুণ দ্রুত কাজ হচ্ছে। দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, 'মধ্যবিত্ত মানুষের উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। তাছাড়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সি ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যুবকদের শিক্ষা এবং তাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্যে মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে দেশে। তেরোটি ভারতীয় ভাষায় বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে ভাষা সম্পর্কিত বাধাগুলি দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে বিশ্বাসী এই সরকার। সরকারের লক্ষ্য ৩ কোটি মবহিলাকে 'লাখপতি দিদি'-তে পরিণত করা।'