এর আগে আমেরিকা বন্ধ করেছিল, এবার সুইৎজারল্যান্ডও বাংলাদেশকে উন্নয়ন খাতে দেওয়া অনুদান বন্ধ করে দেবে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'প্রথম আলো'র রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈদেশিক সহায়তার জন্য সুইস সরকার যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ সংসদের কাছে চেয়েছিল, তার চেয়ে কম অর্থ বরাদ্দ করেছে সেই দেশের সংসদ। এর জেরে বাংলাদেশ সহ তিনটি দেশের অর্থসাহায্যে কোপ বসেছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি আলবেনিয়া ও জাম্বিয়ার অর্থসাহায্যও বন্ধ করতে চলেছে সুইস সরকার। তবে এখনই এই অর্থসাহায্য বনেধ হবে না। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন বা এসডিসি ২০২৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশ, আলবেনিয়া ও জাম্বিয়ায় দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধ করে দেবে। (আরও পড়ুন: মোদী জমানায় আগের বাজেটগুলিতে সেনসেক্স বেড়েছিল নাকি কমেছিল? একনজরে 'ট্রেন্ড')
আরও পড়ুন: '১০ বছরে এই প্রথম বিদেশি হস্তক্ষেপ হয়নি', বাজেটের আগে বিরোধীদের খোঁচা মোদীর
জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেটে এবার আগের তুলনায় প্রায় ১২ কোটি ১০ লাখ ডলার কম বরাদ্দ করা হয়েছে। এর জেরে সরকারের চাহিদা তাতে মিটবে না। তাই বাংলাদেশ সহ তিনটি দেশে অর্থসাহায্য বন্ধ করতে বাধ্য হবে সুইস সরকার। এর জেরে বাংলাদেশের বেশি কিছু প্রকল্প বন্ধ হতে পারে। যার জেরে মাথায় হাত বাংলাদেশিদের। ২৬ জানুয়ারি জানা যায়, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা USAID বাংলাদেশে তাদের সব প্রকল্পের কাজ বন্ধের জন্যে নির্দেশিকা জারি করেছে। এই মর্মে বিভিন্ন প্রকল্পের পার্টনারদের কাছে নাকি USAID-এর তরফ থেকে চিঠি গিয়েছিল। (আরও পড়ুন: ‘যা দরকার করব…’, আরজি করে CBI-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে শাহের সঙ্গে কথা বলবেন বোস?)
আরও পড়ুন: ২০০০ ঘণ্টা মিগ-সুখোই যুদ্ধিমান ওড়ানো পর মহাকাশযানের পাইলট, জানুন কে এই শুভাংশু
উল্লেখ্য, এর আগে ইজরায়েল এবং মিশর ছাড়া বাকি সব আন্তর্জাতিক অনুদান বন্ধের জন্যে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুই দেশকে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য এবং সামরিক সাহায্য পাঠিয়ে থাকে আমেরিকা। এদিকে ট্রাম্প ইউক্রেনকে পাঠানো মার্কিন সাহায্যও স্থগিত করেছে আপাতত। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির উল্লেখ করেছিলেন। যার মাধ্যমে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে সওয়াল করেছিলেন এবং বিদেশি সহায়তা সীমিত করার অঙ্গীকার নিয়েছিলেন। এই আবহে ট্রাম্পের সেই নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বিদেশি অনুদান বন্ধের এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে স্টেটডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি ওপরে সর্বনিম্ন পারদ, সরস্বতী পুজোয় কি ফিরবে শীত?)
আরও পড়ুন: কোনও টেকনিক্যাল সমস্যা... সরস্বতী পুজোয় TMC নেতার বাধার অভিযোগে 'সাফাই' কুণালের
এদিকে ইউক্রেনের ওপরে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই আমেরিকা কয়েক বিলিয়ন ডলারের সাহায্য করেছে ইউক্রেনকে। মার্কিন সাহায্যের ওপর ভর করেই রাশিয়াকে এতদিন ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে ইউক্রেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নয়া সিদ্ধান্তে ইউরোপের এই যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকে নজর থাকবে সকলের। এদিকে শুধু ইউক্রেন নয়, আমেরিকা এতদিন ধরে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধ প্রকল্প - PEPFAR -এ বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য পাঠিয়ে থাকত। এর সুফল পেত মূলত আফ্রিকার দেশগুলি। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নয়া পদক্ষেপের জেরে সেই প্রকল্প ধাক্কা খেতে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে এক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট, জর্জ ডাব্লু বুশের আমলেই শুরু হয়েছিল এইচআইভি প্রতিরোধক এই প্রকল্প। এত বছরে এই প্রকল্পের ফলে প্রাণ বেঁচেছে ২৬ মিলিয়ন মানুষের।