আইপিএলের (Indian Premier League)-র ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) দল। সুপার ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে দিল্লি শিবির। অবশ্য মিচেল স্টার্কের মাস্টারক্লাস বোলিংয়ের কথা না বললেই নয়। কারণ তিনি কার্যত একার দমেই ম্যাচ বের করেছিলেন ক্যাপিটালসের হয়ে। শেষদিকে যখন রান রেট কিছুটা কম দরকার ছিল, তখন অজি পেসারকে স্লগ ওভারে এনেছিলেন অক্ষর প্যাটেল।
শেষ চার ওভারে মোহিত শর্মারা চেষ্টা করছিলেন কম রান দেওয়ার, কিন্তু স্টার্ক অপর এন্ড পুরো ধরে রেখেছিলেন। সেই জন্যই শেষ ওভারে মাত্র ৯রানও তাড়া করে জিততে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। ধ্রুব জুড়েল, সিমরন হেতমায়েরদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল সহজেই এই ম্যাচ পকেটে পুড়বে রাজস্থান, কিন্তু মোক্ষম সময়ই জ্বলে ওঠেন স্টার্ক।
দুরন্ত বোলিং স্টার্কের
যদি ম্যাচের বোলিং পরিসংখ্যান দেখা যায় রাজস্থানের ইনিংসের সময়, তাহলে মনে হবে স্টার্ক তো তেমন কিছুই বোলিং করেননি। কারণ ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ দুই ওভারে স্টার্কের স্পেলটাই ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্যই সুপার ওভারেও অজি তারকার দুরন্ত বোলিং এই ম্যাচে দিল্লিকে জিততে সাহায্য করে।
ম্যাচে একটা বিষয় ছিল লক্ষ্য করার মতো, দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে অভিষেক পোড়েল দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন শুরুর দিকে। জোফ্রা আর্চার থেকে সন্দীপ শর্মা, কাউকেই তিনি যেন মানছিলেন না পাওয়ারপ্লের ভিতর ওপেনিং করতে এসে। তবে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক এবং করুণ নায়ারের আউটের পরই একটু যেন খোলসের মধ্যে ঢুকে পড়েন পোড়েল।
করুণের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির পরই চাপে অভিষেক
আসলে করুণ নায়ারের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয় অভিষেকের, তার জেরেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন নায়ার। এরপরই নিজের ওপর যেন অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলেন তিনি। তাতেই ৩৭ বলে ৪৯ রান করেন এই বঙ্গতনয়। ম্যাচে দিল্লির সর্বোচ্চ রানও করেন তিনিই। তবে অর্ধশতরানের সুবর্ণ সুযোগ তিনি হাতছাড়া করেন।
অভিষেক আউট হলেও আপিল করেনি বোলার-কিপার
জোফ্রা আর্চারের বোলিংয়ে অভিষেক পোড়েল একটি বাউন্সার বল খেলতে গিয়ে তাতে ব্যাট ছুঁইয়ে ফেলেন, কিন্তু সঞ্জু স্যামসন বা আর্চার কেউই আপিল করেননি। ফলে জীবনদান পেয়ে যান অভিষেক। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৯ রানের মাথায় থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং করার রিয়ান পরাগের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন পোড়েল।
রাজস্থানের স্ট্র্যাটেজি ফাঁস?
অভিষেক আগেই আউট হলেও তাঁর বিরুদ্ধে সঞ্জু স্যামসন এবং জোফ্রা আর্চারের আপিল না করার সিদ্ধান্তকে একপ্রকার স্ট্র্যাটেজি হিসেবেই দেখছেন হরভজন সিং। তিনি কমেন্ট্রি বক্সে বলেন, ‘জোফ্রা আর্চারের এই বলে বেশ বড় স্পর্শ ছিল ব্যাট এবং বলের। কিন্তু বোলার বা উইকেটকিপার কেউ আপিলই করল না। এটা এমনও হতে পারে যে পরের ব্যাটার যারা আসবে তারা তো খুব মারবে বা রান তুলবে। তাই ওকেই রেখে দেওয়ার প্ল্যানিং করল রাজস্থান ’।
আর আপিল করতে হল না, খোঁচা সাবার
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিষেক আউট হন। তখন অজয় জাদেজা এবং সাবা করিমও ছিলেন ভাজ্জির সঙ্গে কমেন্ট্রি বক্সে। সেখানেই সাবা করিমকে বলতে শোনা গেল, ‘৪৯ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন অভিষেক পোড়েল। এক্ষেত্রে রিয়ান পরাগ ক্যাচ নিয়েছেন আর এখানে আউটের জন্য তাঁকে আপিলও করতে হল না ’।