প্রমোদ গিরিতিস্তা একেবারে ধ্বংসলীলা চালাল সিকিমে। শান্ত নদীর এমন অশান্ত রূপ ফের দেখল সিকিম। সিকিমের অন্যতম বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সিকিম উরজাতে বিরাট বিপর্যয়। বাঁধ ও পাওয়ার হাউসকে সংযোগকারী যে ব্রিজ ছিল সেটা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে তিস্তা।সিকিম উরজা লিমিটেডের সুনীল সারোগি বলেছিলেন,' রাত ১২টার পরে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্য়ে ভেসে গেল চুংথাংয়ের এর বাঁধ। ২০০ মিটার ব্রিজটাও ভেঙে গেল। গোটা পাওয়ার হাউস জলের তলায়।'উত্তর সিকিমের চুংথাং ও মঙ্গনে ১২০০ মেগাওয়াট প্রজেক্ট। গত বছর থেকে এই প্রথমবার লাভের মুখ দেখছিল এই প্রকল্প। এই প্রকল্পে সিকিমের শেয়ার আছে ৬০.০৮ শতাংশ। প্রায় ২৫,০০০ কোটির প্রকল্প। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখানকার ইউনিট সফলভাবে কার্যকরী হয়েছিল।কিন্তু নদীর প্রবল স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত সংযোগকারী ব্রিজ। অন্তত ৩০জনের খোঁজ মিলছে না। মঙ্গলবার রাতে অন্তত ৬টা ব্রিজ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে।ফোনে সারোগি জানিয়েছেন, রাত ১১টা ৫৮ নাগাদ আমরা আইটিবিপির কাছ থেকে খবর পাই। আমাদের টিম ড্যামের গেট খোলার জন্য যায়। গেট খোলার আগে হড়পা বান ধাক্কা মারল। তারা সব প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে থাকে। ১২-১৩জন ছিলেন। পরে আইটিবিপি তাদের উদ্ধার করে রাত ২টো নাগাদ।তিনি বলেন, আমরা পাওয়ার হাউসে যেতে পারছি না। গোটা টিম অপেক্ষা করছে। রাস্তা বন্ধ। মঙ্গনের পাওয়ার হাউজে কতটা ক্ষতি সেটাও বুঝতে পারছি না। যে ব্রিজটা দিয়ে পাওয়ার হাউজে যেতাম সেটাও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তবে পাওয়ার হাউজের মধ্য়ে কেউ নেই। এটাই সৌভাগ্যের।তিনি জানিয়েছেন হাজার কোটির ক্ষতি হয়ে গেল। ড্যাম আর ব্রিজ বানতেই হাজার কোটি লেগে যাবে।এদিকে সিকিমের তিন জেলা মঙ্গন( উত্তর সিকিম), পাকিয়ং ও গ্যাংটক( পূর্ব সিকিম) মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে মঙ্গন। আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, তিস্তার জলসীমা বিপদসীমার উপর চলে যেতে পারে। উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় ও বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির সতর্কতা রয়েছে।