ফের একবার ভারতের মাটি থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শেখ হাসিনার। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী 'রহস্য' খুঁজে পাচ্ছেন সমন্বয়কদের দাবিদাওয়ার মধ্যে। উল্লেখ্য, নিউইর্কে আওয়ামি লিগের এক সভায় শেখ হাসিনার অডিয়ো বার্তা শোনানো হয়েছিল। সেই অডিয়ো বার্তাতেই হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, 'সমন্বয়কদের কেউ বলছেন, কোনও মৃতদেহ পেলে ময়নাতদন্ত করা যাবে না। এর অর্থ কী? রহস্য রয়েছে। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। হত্যা মামলার তো কোনও সীমা নেই। এর সঙ্গে গ্রেফতার, নির্যাতন তো রয়েছেই।' (আরও পড়ুন: বাড়ছে না ডিএ, এরই মাঝে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মেমো অর্থ দফতরের)
আরও পড়ুন: বছর শেষে ফের শীতের আমেজ জেলায় জেলায়, কলকাতায় তাপমাত্রা নামবে কত ডিগ্রিতে?
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে 'সংবিধান বদলের ডাক' দিয়ে সভার ঘোষণা করেছে। এই আবহে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শেখ হাসিনা এই অডিয়ো বার্তায় বলেন, 'যতই চেষ্টা হোক আওয়ামি লিগকে একেবারে শেষ করে দেবে, সেটা কেউ পারবে না।' এদিকে আওয়ামি লিগ কর্মী, সমর্থকদের ওপর অত্যচার প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, এর জবাব একদিন বাংলাদেশ দেবে। লাশের মিছিল যতই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক না কেন, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবেই। এ সকল অপকর্ম ও লাশের দায়ভার নৈরাজ্যবাদী ইউনূস সরকারকেই নিতে হবে এবং এসবের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে।' (আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, 'বন্ধু' হারিয়ে শোক প্রকাশ বাইডেনের)
চলতি বছরে জুলাই-অগস্টে বাংলাদেশে যে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল, তা গণঅভ্যুত্থানের আকার নিয়েছিল। সেই 'বিপ্লব' নিয়ে অবশ্য ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে এসেছে একের পর এক। প্রাথমিক ভাবে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার সদস্যদের 'কোটা' দেওয়ার বিরুদ্ধে। মোট ৯ দফা দাবি সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল পড়ুয়ারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোড় অবশ্য ঘুরে যায় জুলাইয়ের শেষের দিকে। তখন আন্দোলন শুরু হয় '১ দফার দাবিতে' - হাসিনার পদত্যাগ। ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন।
এদিকে তারপর গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে একাধিক মামলা হয় হাসিনার বিরুদ্ধে। তার মধ্যে গণহত্যার মামলাও রয়েছে। এই আবহে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ভারতের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে মহম্মদ ইউনুস সরকার। এদিকে বাংলদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। হামলার শিকার হচ্ছেন হাসিনার দলের নেতা কর্মীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হচ্ছে। এদিকে খুন হয়েছেন বহু নেতা -কর্মী। এই আবহে আগামী নির্বাচনে আওয়ামি লিগকে লড়তে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। এই সবের মাঝেই আওয়ামি লিগের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন হাসিনা।