গাজিয়াবাদে বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনায় কিনারা করল পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছিল ওই দম্পতিকে। আর এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে ১২ বছরের এক বালক! এমন বিষয়টি জানতে পেরে হতভম্ব খোদ তদন্তকারীরা। শনিবার এই খুনের অভিযোগে পুলিশ ওই বালককে গ্রেফতার করেছে। তার সঙ্গে আরও ৩ বালক ছিল। তার মধ্যে একজন এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদে এই খুনের ঘটনা ঘটেছিল গত ২০ নভেম্বর। ৬০ বছর বয়সি ইব্রাহিম এবং তাঁর ৫৮ বছরের স্ত্রীকে খুন করা হয়েছিল। ঘরের ভেতরে মিলেছিল ইব্রাহিমের দেহ এবং তাঁর স্ত্রীর দেহ পাওয়া গিয়েছিল শৌচাগার থেকে। সেই সঙ্গে বাড়ির সব আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো ছিল। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে, দম্পত্তির কাছ থেকে টাকা হাতানোর জন্যই এই খুনের ছক কষেছিল ১২ বছরের ওই বালক। এরজন্য সে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল আরও ৩ জনকে। ১২ বছরের ওই বালকের সঙ্গে ইব্রাহিমের বেশ ভালোই পরিচয় ছিল। ওই বালক তাঁর বাড়ি থেকেই যাবতীয় পুরনো ভাঙাচোরা জিনিসপত্র কিনত। পুলিশের প্রথম থেকেই অনুমান ছিল এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কেউ জড়িত রয়েছে। তবে এই কাজ যে একজন বালক করতে পারে তা ধারণাই ছিল না পুলিশের। বৃদ্ধের এক প্রতিবেশীর সন্দেহের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই বালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অবশেষে সে অপরাধ স্বীকার করে।