আজ জাপান সফরের দ্বিতীয় দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বুলেট ট্রেনে যাত্রা করলেন। বর্তমানে ইস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানিতে প্রশিক্ষণরত ভারতীয় ট্রেন চালকদের সঙ্গে সেখানে সাক্ষাতও করেছেন মোদী। দুই প্রধানমন্ত্রী টোকিও থেকে জাপানের সেন্দাই শহরে যান বুলেট ট্রেনে করে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে যাত্রার ছবি শেয়ার করেছেন এবং ক্যাপশনে লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সেন্দাইয়ের পথে।' (আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ফের বিপর্যয়, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গ্রাম, মৃত একাধিক)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বেশিরভাগ শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করল মার্কিন আদালত, মাথায় বাজ প্রেসিডেন্টের
এর আগে শনিবার টোকিওতে জাপানের ১৬টি জেলার গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছেন, গভর্নরদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রিফেকচারগুলির সহযোগিতার সম্ভাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় চালু হওয়া স্টেট-প্রিফেকচার পার্টনারশিপ ইনিশিয়েটিভের আওতায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদী। উল্লেখ্য, গতকাল ১৫তম বার্ষিক ভারত-জাপান শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন এই বিষয়ে একটি পৃথক উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। মোদী বলেন, 'বাণিজ্য, উদ্ভাবন, উদ্যোগ এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। স্টার্টআপ, প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ভবিষ্যৎমুখী ক্ষেত্রগুলিও লাভজনক হতে পারে এতে।' (আরও পড়ুন: 'যতক্ষণ লাভ হবে, ততক্ষণ কিনব', রাশিয়ান তেল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা ONGC-র)
আরও পড়ুন: দেশে জনপ্রিয়তা বেড়েছে মমতার, CM হিসেবে রাজ্যে কমেছে গ্রহণযোগ্যতা: সমীক্ষা
এর আগে শুক্রবার টোকিয়োয় জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, চন্দ্রযান-৫ মিশনের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো এবং জাপানের মহাকাশ সংস্থা 'জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি' (জাকা)। তারইমধ্যে জাপানের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে আগামী এক দশকে ভারতে ১০ মিলিয়ন ইয়েন (ভারতীয় মুদ্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকার মতো) বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের সমন্বয় আরও বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে রোডম্যাপও। সেইসঙ্গে ভারত এবং জাপানের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর, পর্যটন, শিক্ষা, সংস্কৃতির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু'দেশই সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবার সুরক্ষার মতো বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই রেশ ধরে প্রতিরক্ষা এবং সামুদ্রিক সুরক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ভারত এবং জাপান যে বদ্ধপরিকর, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।