শুক্র ও শনিবারের মধ্যবর্তী রাতে জম্মু ও কাশ্মীরে ফের একবার মেঘভাঙা বৃষ্টি হল। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩ জনের। এখনও ২ জন নিখোঁজ আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রামবন জেলার রাজগড় তহসিলের দ্রুবলা, নাটনা ও কুমাইতে এলাকায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজগড় গ্রামে দুটি বাড়ি ও একটি স্কুল ভবন ভেসে যায়। উদ্ধারকারী দলগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে। এদিকে শনিবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় ভূমিধসের কারণে একটি বাড়ি ভেঙে পুরো পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাতজনের মধ্যে ১২, ১০, ৮, ৬ ও ৪ বছর বয়সি পাঁচ শিশুও রয়েছে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বেশিরভাগ শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করল মার্কিন আদালত, মাথায় বাজ প্রেসিডেন্টের)
আরও পড়ুন: দেশে জনপ্রিয়তা বেড়েছে মমতার, CM হিসেবে রাজ্যে কমেছে গ্রহণযোগ্যতা: সমীক্ষা
উত্তর ভারত জুড়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে তাণ্ডব চলছে। উত্তরাখণ্ডে সম্প্রতি মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ১১ জন নিখোঁজ হন। এর একদিন পরেই মানালি নদীর তীরবর্তী শহরের কিছু অংশ ভেসে যেতে দেখা গিয়েছিল। এদিকে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে পঞ্চম দিনের মতো অবরুদ্ধ রয়েছে। এর আগে শুক্রবার বান্দিপোরা জেলার গুরেজ সেক্টরে মেঘভাঙা বৃষ্টি দেখা যায়। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উত্তর কাশ্মীর জেলার সীমান্তবর্তী গুরেজ সেক্টরের তুলাইল এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় এর মধ্যে। তবে তাতেও জানপ্রাণের কোনও ক্ষতি হয়নি। (আরও পড়ুন: 'যতক্ষণ লাভ হবে, ততক্ষণ কিনব', রাশিয়ান তেল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা ONGC-র)
আরও পড়ুন: 'ব্র্যান্ড US টয়েলেটে চলে গিয়েছে', ভারতের উদাহরণ টেনে বললেন প্রাক্তন মার্কিন NSA
এদিকে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার বৈষ্ণোদেবীর পাহাড়ি পথে বিপর্যয়ে ৩২ জন প্রাণ হারান। এর জেরে মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে ৭৪ জন তীর্থযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। গত দুই সপ্তাহে বৃষ্টিপাত সম্পর্কিত ঘটনায় প্রায় দেড়শো জনের কাছাকাছি প্রাণ হারিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরে। এর আগে গত ১৪ অগস্ট কিশতওয়ারে কমপক্ষে ৬৫ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল, ১৭ অগস্ট কাঠুয়ায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে পাঁচ নাবালক-সহ অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল। (আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া গেছে? সমীক্ষায় উঠে এল জনমত)
এদিকে বন্যায় নাজেহাল পড়শি পাকিস্তানও। পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর লাহোরও বন্যার জলে তলিয়ে গেছে। লাহোরের অনেক আবাসিক এলাকা এখন জলমগ্ন। উল্লেখ্য, লাহোরের পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যায় রবি নদী। প্রায় ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো লাহোর শহর বন্যার কবলে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।