পাঁচ থেকে ১১ বয়সিদের ক্ষেত্রে নিরাপদ টিকা,গড়ে উঠেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:ফাইজার

শিশুদের করোনাভাইরাস টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও কিছুটা আশার দেখা গেল। সোমবার ফাইজার এবং বায়োএনটেকের তরফে দাবি করা হল, দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়ালে পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের দেহে ফাইজারের টিকা নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। সেইসঙ্গে শিশুদের শরীরে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন এবং জার্মান সংস্থা।দুই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, ১২ বছরের ঊর্ধ্বে টিকার যে ডোজ প্রদান করা হয়, তার মাত্র পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে কম থাকবে। দ্বিতীয়/তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়ালে শিশুদের দেহে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে, তা আগে ১৬ থেকে ২৫ বছরের টিকাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল। সুরক্ষার দিক থেকেও প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে মিল আছে বলে যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেছে মার্কিন এবং জার্মান সংস্থা।তারইমধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য শীঘ্রই ফাইজারের টিকার আবেদন জমা পড়তে তলেছে। শুধু আমেরিকা নয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে 'যত দ্রুত সম্ভব' আবেদন করার বিষয়ে জানিয়েছেন ফাইজার এবং বায়োএনটেক। ফাইজারের চিফ এগজিকিউটিভ অ্যালবার্ট বরলা জানিয়েছেন, গত জুলাই থেকে আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ২৪০ শতাংশ বেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সার্বিক টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের জন্য আমাদের টিকার অনুমোদন চাওয়ার ক্ষেত্রে এই ট্রায়ালের ফলাফল শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি করে দিয়েছে। আমরা দ্রুততার সঙ্গে এফডি (মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে (সেই ট্রায়ালের ফলাফল) জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।'