২০ বছরের করুন্যা গত ২০২১ সালে মারা গিয়েছেন। তাঁর বাবা বেণুগোপাল বলছেন,' বাবা মায়েরা চাইছেন উদাহরণ যোগ্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, এটি করদাতাদের কাছ থেকে নয়, বরং SII ও সরকারি কর্তৃপক্ষের থেকে আসুক, যারা এটি রোল আউট করার জন্য দায়ী। আমরা আইনি রাস্তা দেখছি।'
কোভিশিল্ডের বিরুদ্ধে সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ বাবা মায়ের। ফাইল ছবি : রয়টার্স
সদ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ চরমে। তারই মাঝে এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু অভিভাবক দাবি করছেন যে তাঁদের সন্তানের মৃত্যুর জন্য দায়ী কোভিশিল্ড। এমন ৮ মৃতের পরিবারের তরফে মৃত শিশুদের অভিবাবকরা এবার পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছেন। কেরলা, মুম্বই, কাপুরথালা, কোয়েম্বাটুর, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের এই স্বজনহারা পরিবারগুলি এবার আইনি পদক্ষেপের পথে।
সদ্য ইউকের কোর্টে এক মামলার সূত্র ধরে অ্যাস্ট্রাজেনেকা দাবি করেছে, তাদের কোভিড ভ্যাকসিনের বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে থাকতে পারে থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসায়াটোপেনিয়া সিন্ড্রোম। সদ্য ফেব্রুয়ারি মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোর্টে পেশ করা নথিতে স্বীকার করেছে যে, তাদের কোভিড ভ্যাকসিনে সম্ভাবনা রয়েছে বিরলতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার। এরফলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও প্লেটলেট কমে যাওয়ার মতো শারীরিক পরিস্থিতি দেখা যায়।
২০ বছরের করুন্যা গত ২০২১ সালে মারা গিয়েছেন। তাঁর বাবা বেণুগোপাল বলছেন,' বাবা মায়েরা চাইছেন উদাহরণ যোগ্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, এটি করদাতাদের কাছ থেকে নয়, বরং SII ও সরকারি কর্তৃপক্ষের থেকে আসুক, যারা এটি রোল আউট করার জন্য দায়ী। আমরা আইনি রাস্তা দেখছি।' তিনি আরও বলছেন, ‘আমি সম্প্রতি আরও ৪ টি এমন ঘটনা দেখেছি যেখানে মৃত্যু হয়েছে, আর ২ টি গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা।’ এদিকে, ২০২১ সালের জুন মাসে রচনা হারিয়েছেন তাঁর মেয়ে রিথাইকাকে। রচনা বলছেন,' আমরা যখন রিথুকে হারাই তখন আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। কারণ স্থানীয় কর্তারা আমাদের কোনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিচ্ছিলেন না। আমাদের বেশ কয়েকটি আরটিআই করে তথ্য পেতে হয়েছে।' উল্লেখ্য, রিথাইকার মৃত্যু হয়েছে ১৮ বছর বয়সে। তাঁর মা বলছেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তাঁর মৃত্যু হয়েছে কোভিশিল্ডের কারণে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে।’
এদিকে, সদ্য চিকিৎসকদের এক সংগঠন দাবি করেছে, যাতে দেশের সমস্ত ভ্যাকসিন নিয়ে ফের পর্যালোচনা করে কেন্দ্র। অ্যাস্ট্রাজেনেকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘিরে ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে উদ্বেগ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওই চিকিৎসদের সংগঠন ‘অ্যাওয়েকেন ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’ কোভিডের সব টিকা পর্যালোচনা করার আর্জি জানিয়েছে। নারীরোগ বিশেষজ্ঞ সুজাতা মিত্তল বলছেন, হাজার হাজার মহিলা তাঁদের ঋতুচক্রে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এবং ভ্যাকসিন কোর্ট প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই যাতে টিকার জেরে অসুস্থ এবং তাঁদের পরিবারের দ্রুত বিচার পায়।’