গাজায় হামলা অব্যাহত রাখার জন্য ইজরায়েলের হাতে অজুহাত তুলে দিয়েছে 'সন অফ...হামাস। এমনই মন্তব্য করেছেন প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। পাশাপাশি ইজরায়েলি পণবন্দিদের হস্তান্তর করার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-মাকে চরম অপমান! বাংলাদেশে স্ত্রীকে খুন করে দেহ সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলল মসজিদের ইমাম
সমস্ত পণবন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে বলে আগেই হুমকি দিয়েছে ইজরায়েল। এই পরিস্থিতিতে রামাল্লায় প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। কেন? তারা সেই মার্কিন পণবন্দিদের হস্তান্তর করতে চায় না।’ প্রেসিডেন্ট আব্বাস হামাসের উদ্দেশে বলেন, ‘সন অফ...., তোমাদের কাছে যারা আছে, তাদের হস্তান্তর করো এবং আমাদের এই অবস্থা থেকে মুক্তি দাও। ইজরায়েলকে কোন অজুহাত দেওয়ার সুযোগ দিয়ো না। তাদের অজুহাত দেওয়ার সুযোগ দিয় না।’ মাহমুদ আব্বাস আরও বলেন, ইজরায়েলের কারণে নয়, বরং এই বন্দীদের আটকে রাখার কারণে ‘আমাকে এবং আমার জনগণকে মূল্য দিতে হচ্ছে।' মাহমুদ আব্বাস জানিয়েছেন, হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ও তাদের হাতে থাকা অস্ত্র হস্তান্তর করে নিজেদের রাজনৈতিক দলে পরিবর্তন করতে হবে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, যাদের আটকে রাখা হয়েছে, তাঁদের ছেড়ে দাও। এখানেই শেষ নয়, গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হবে। পাশাপাশি প্যালেস্তানিয় কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র তুলে দিতে হবে।
অন্যদিকে, প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য বাসেম নাইম বলেছেন, মাহমুদ আব্বাস নিজের লোকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের প্রতি অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করেছেন।হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধ করলে এবং ইজরায়েলি সেনা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হলেই বন্দিদের মুক্ত করা হবে। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন প্যালেস্টাইন এখন পশ্চিম তীরের একাংশে শাসন করছে। ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছিল হামাস।
আরও পড়ুন-মাকে চরম অপমান! বাংলাদেশে স্ত্রীকে খুন করে দেহ সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলল মসজিদের ইমাম
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইজরায়েলের আনা নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করতে চায়নি। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বদলে এখনও বন্দি হয়ে থাকা ৫৯ জনের মধ্যে ১০ জনের মুক্তির পাশাপাশি গাজায় সেনা ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।