পাকিস্তানের ওই তাবড় মন্ত্রীর সঙ্গে পাকিস্তানের এক বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলও ঢাকায় পা রাখছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। (Photo by Pakistan's Press Information Department (PID) / AFP) / XGTY
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সখ্যতা দিনে দিনে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। সোমবার ইদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকরারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে ফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও একাধিক ইস্যুতে কথা হয়েছে বলে ‘দ্য ডন’র রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।
‘রেডিও পাকিস্তান’কে উল্লেখ করে ‘দ্য ডন’র রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যের সম্পর্ক নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট শাহবাজ শরিফ। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়া নিয়ে। বিশেষত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও পর্যটনের ক্ষেত্রে সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়া নিয়ে,সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শরিফ। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন বলে খবর।
এদিকে জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসে ঢাকায় পা রাখতে চলেছেন পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী ইশক দার। তিনি একাই শুধু যাচ্ছেন না, তাঁর সঙ্গে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। এদিকে, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে যাচ্ছে সাংস্কৃতিক একটি প্রতিনিধি দল। শিল্পীদের এই দলে থাকছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, সকল স্তরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন। প্রসঙ্গত, ইদের দিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান মহম্মদ ইউনুসকে ফোন করে তাঁকে পাকিস্তানে যেতে আমন্ত্রণ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, সদ্য চিন সফর শেষে বাংলাদেশে ফিরেছেন মহম্মদ ইউনুস। তারপরই এবার এল পাকিস্তান থেকে ডাক। দুই দিকই দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে, এই মাসের শেষের দিকে, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছিলেন যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ রয়েছে, যা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি একথা জানান। সেই বৈঠকে, ইসলামাবাদের তরফে, ঢাকার সঙ্গে জলপথ ও আকাশপথে সংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়।