চলতি সপ্তাহেই হাড়হিম করা জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল দিল্লিতে।গত মঙ্গলবার মজনু কা টিলা এলাকায় এক তরুণী ও ছয় মাসের শিশুর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। দুইজনকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে মৃতার প্রাক্তন প্রেমিক নিখিল কুমারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক ছিল।এবার তাঁকে উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ঋতুস্রাব হচ্ছে কিনা তা দেখতে স্কুলে নগ্ন করা হল ছাত্রীদের, ধৃত প্রিন্সিপাল)
আরও পড়ুন: মোদীর নতুন বন্ধুর ওপর ৫০% শুল্ক 'সম্রাট' ট্রাম্পের, শুরু নয়া বাণিজ্য যুদ্ধ
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত তরুণীর নাম সোনাল। শিশুটি ছিল সোনালের বান্ধবী রশ্মির কন্যা। সোনাল সম্প্রতি তাঁর প্রেমিক নিখিলের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে রশ্মির সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।এদিকে, সম্পর্ক না থাকলেও গত কয়েকদিন ধরেই সোনাল ও নিখিলের মধ্যে তীব্র অশান্তি চলছিল। ঘটনার দিন রশ্মি বাইরে গিয়েছিলেন। ছয় মাসের শিশুকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন সোনাল। পুলিশের অনুমান, সেই সুযোগেই অভিযুক্ত নিখিল ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, সোনালকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়। তারপর নির্মমভাবে খুন করে ছয় মাসের শিশুটিকেও। খুন করে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় নিখিল।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিভিল লাইনস থানার পুলিশ, ফরেনসিক ইউনিট ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল। অবশেষে বুধবার হলদোয়ানি থেকে অভিযুক্ত নিখিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: ভারতের কোনও রাজ্যের চিনের সঙ্গে সীমান্ত নেই… বেজিংয়ের আঁতে ঘা দিয়ে বিস্ফোরক পেমা)
আরও পড়ুন-আচমকা কেঁপে উঠল মাটি! আতঙ্কে ছোটাছুটি শহরবাসীর, কী হল দিল্লিতে?
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিখিল ফুড ডেলিভারির এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। সে সন্দেহ করত যে সোনাল তার বান্ধবীর স্বামী দুর্গেশ কুমারের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) রাজা বান্থিয়া জানিয়েছেন, 'সম্প্রতি সোনাল অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন। নিখিলের সন্দেহ, এই কাজে সোনালকে সাহায্য করেছে দুর্গেশ। তাই প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার সে একটি সার্জিক্যাল ব্লেড কিনে দু'জনকে হত্যা করে।' পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সোনাল এবং নিখিলের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০২৩ সালে হলদোয়ানিতে। ২০২৪ সালে সোনাল এক সন্তানের জন্ম দেয় এবং তারা শিশুটিকে উত্তরাখণ্ডে বিক্রি করে দেয়। এরপর তারা ওয়াজিরাবাদে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে।
আরও পড়ুন-আচমকা কেঁপে উঠল মাটি! আতঙ্কে ছোটাছুটি শহরবাসীর, কী হল দিল্লিতে?
উল্লেখ্য, মাত্র ৬ দিন আগেই রাজধানীতে ঘটে গিয়েছে একটি নৃশংস ঘটনা। লাজপত নগরে কুপিয়ে খুন করা হয় এক মহিলা ও তাঁর নাবালক পুত্র সন্তানকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই বাড়ির পরিচালক তথা ড্রাইভার মুকেশ পাসওয়ান এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত।