ছাতনা তলায় অগ্নিকুণ্ডের চারপাশে ঘুরছেন বর—বধূ। দূর থেকে মন্ত্রোচ্চারণ করছেন পুরোহিত। ঘরময় গমগম করছে মন্ত্রের সেই শব্দ। তবে এই দৃশ্যটা অন্যান্য বিয়ের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ, বর—কনের পরনে ধুতি—পঞ্জাবি কিংবা দামr শাড়ি নয়, তাঁদের দেহে আপাদমস্তক ঢাকা পিপিই কিটে! এমনকী, তাঁদের ঘিরে পরিবারের যেসব সদস্যরা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকেই পরনে রয়েছে সেই পিপিই কিটই। এভাবে পিপিই কিট পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন রতলামের বর—কনে। মধ্যপ্রদেশের সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। হু হু করে বাড়তে থাকে শেয়ার, লাইকের সংখ্যাও। জানা গিয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন মধ্যপ্রদেশের রতলামের ওই হবু বর। কিন্তু ততক্ষণে সমস্ত আয়োজনও সেরে ফেরেছিলেন তাঁর আত্মীয়রা। তবে বাধ সাধে করোনা সংক্রমণ। করোনায় আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। ঘটনার পর কীভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, তা নিয়ে ধন্দে পড়ে যান বরের পরিবারের লোকেরা। তবে সমস্ত ধন্দ কাটিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন বলেই স্থির করেন হবু বর। সেই মতো ২৬ এপ্রিল কনের সঙ্গেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি । পিপিই কিট পরেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন মধ্যপ্রদেশের এই যুগল। জানা গিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সাতপাকে ঘোরা থেকে শুরু করে মালাবদল, সমস্ত কিছুই সরকারি নিয়ম মেনেই সম্পন্ন করেন দু’তরফের পরিবারের লোকেরাই। অবশ্য বিয়ের অনুষ্ঠান জাঁকজমক করে নয়, কয়েকজন পুলিশকর্মী ও বাড়ির লোকেদের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন করা হয়। রতলামের জেলাশাসক নবীন গর্গ এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, হবু বর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনেছিলেন তিনি। তিনি এও শোনেন কন্টেনমেন্ট জোন ভেঙে বর পৌঁছে গিয়েছিলেন ছাতনা তলায়। এই বিষয়ে জানা মাত্রই সেখানে ছুটে যান তিনি। বিয়ের ছাতনাতলা পৌঁছে তিনি দেখেন, পিপিই কিট পরেই বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে কয়েকজন পুলিশ ছাড়াও বর—কনে পক্ষের আত্মীরা উপস্থিত রয়েছেন।