আইএনএস কলকাতা, আইএনএস কোচি, আইএনএস মরমুগাওঁ, আইএনএস বিশাখাপত্তনম এবং আইএনএস চেন্নাইকে মোতায়েন করা হয়েছে সমুদ্রে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস কলকাতা লোহিত সাগরের মুখে পৌঁছে গিয়েছে। আইএনএস কোচি আছে উত্তর আরব সাগর অঞ্চলে টহল দিচ্ছে। আইএনএস বিশাখাপত্তনমও উত্তর আরব সাগরে আছে।
ভারতের ৫টি রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে আরব সাগরে
গত কয়েকদিনে পরপর ভারতগামী জাহাজে হামলা চলেছে সাগরে। এই সব হামলায় ইরান এবং ইয়েমেনের হুথি জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে এবার আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে পাঁচটি রণতরী মোতায়েন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। পেন্টাগনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিককালে ইয়েমেনের হুথিরা ১০০টিরও বেশি ড্রোন উড়িয়ে ১০টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে ইজরায়েল যোগ থাকা জাহাজের ওপরে এই হামলা চালানো হচ্ছে। তবে এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে ভারতগামী একাধিক জাহাজ। এই আবহে আইএনএস কলকাতা, আইএনএস কোচি, আইএনএস মরমুগাওঁ, আইএনএস বিশাখাপত্তনম এবং আইএনএস চেন্নাইকে মোতায়েন করা হয়েছে সমুদ্রে। (আরও পড়ুন: 'BJP সাংসদ আমাকে বলেন...', গেরুয়া শিবিরে 'দাসত্বের সংস্কৃতি' নিয়ে বিস্ফোরক রাহুল)
রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস কলকাতা লোহিত সাগরের মুখে পৌঁছে গিয়েছে। আইএনএস কোচি আছে উত্তর আরব সাগর অঞ্চলে টহল দিচ্ছে। আইএনএস বিশাখাপত্তনমও উত্তর আরব সাগরে আছে। এদিকে আইনএস কোচি ইয়েমেনের সোকোট্রা দ্বীপের দক্ষিণে নজরদারি চালাচ্ছে। এবং আইএনএস চেন্নাই এবং আইএনস মরমুগাওঁ পশ্চিম আরব সাগর অঞ্চলে ঘুরছে। এই রণতরীগুলোতে আছে ব্রহ্মোস মিসাইল। এছাড়া ভারতীয় রণতরী থেকে বিমান উড়ে গিয়েও বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করেছে। এদিকে এই রণতরীগুলি যাতে সবসময় সাগরে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে ২৫ হাজার টনের ট্যাঙ্কারের সাহায্যে। 'স্বর্ণমালা' নামক ট্যাঙ্কারটি আপাতত ভাড়ায় নিয়ে রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। সেই ট্যাঙ্কারই জ্বালানি সরবরাহ করছে আরব সাগরে মোতায়েন থাকা ভারতীয় রণতরীগুলিকে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই গুজরাট থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটায় দূরে ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল একটি জাহাজ। সেই জাহাজটির নাম ছিল 'এমভি কেম প্লুটো'। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত মহাসাগরে একটি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা চালানো হয় শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এদিকে জাহাজে ২০ জন ভারতীয় নাবিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে জাহাজের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকারটির সাথে ইজরায়েল যোগ রয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে সম্প্রতি আরও একটি জাহাজে হামলা চালানো হয় লোহিত সাগরে। জানা গিয়েছে, সেই জাহাজে ছিল অশোধিত জ্বালানি তেল। সেই জাহাজে ২৫ জন ভারতীয় ক্রু ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজটির নাম - এমভি সাইবাবা। এই ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে পেন্টাগন দাবি করেছিল, এমভি সাইবাবা ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ। পরে ভারতীয় নৌবাহিনী সেই দাবি উড়িয়ে জানিয়ে দেয়, জাহাজটি গ্যাবনের পতাকাবাহী।