রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মালভূমি উপ-সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সামরিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। পূর্ব হিমালয় পর্বতমালা জুড়ে অবস্থিত এই উপ-সেক্টরটি দেশের সবচেয়ে উঁচু এবং শীতলতম যুদ্ধক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের উত্তরে লালমনিরহাটে নাকি চিনা বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরির জন্যে সবুজ সংকেত দিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এমনই দাবি করা হয়েছিল একধিক রিপোর্টে। এদিকে সত্যি সেখানে চিনা ঘাঁটি গড়ে উঠলে তা ভারতের চিকেনস নেক করিডরের জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এরই মাঝে সিকিমে প্রকিত নিয়ন্ত্রণরেখার খুবই কাছে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল ভারতীয় সেনা। বার্তাসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মালভূমি উপ-সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সামরিক দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। পূর্ব হিমালয় পর্বতমালা জুড়ে অবস্থিত এই উপ-সেক্টরটি দেশের সবচেয়ে উঁচু এবং শীতলতম যুদ্ধক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি। সেখানেই অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত কামান এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যান নিয়ে মহড়া দেয় সেনা। (আরও পড়ুন: 'বিএসএফ টাকা দিয়ে ইট ছুড়িয়েছে', মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়েও বিস্ফোরক মমতা)
এর আগে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণ করছে চিন। এদিকে চিনা বিমানঘাঁটি সংক্রান্ত তথ্য নাকি ভারতের কাছেও গিয়ে গৌঁছেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা ভারতের 'চিকেনস নেক' এলাকার সাথে সংযুক্ত। বাংলাদেশের এই লালমনিরহাট জেলা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা সংলগ্ন। এই আবহে কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল। এহেন পরিস্থিতিতে চিনকে এই এলাকায় বিমানঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি দিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সময়ই চিনকে এই বিমানঘাঁটি তৈরির অনুমতি দিয়ে এসে থাকতে পারে ইউনুস। তবে এ প্রকল্প নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার কোনো উল্লেখ সরকারি নথিতে নেই। এদিকে এই চিন সফরকালেই উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।