বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Kash Patel takes oath on Bhagavad Gita: গীতায় হাত রেখে এফবিআই ডিরেক্টর হিসেবে শপথ কাশের! ভারতের কোন গ্রামের সঙ্গে যোগ?
পরবর্তী খবর
ভগবত গীতায় হাত রেখে এফবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন কাশ প্যাটেল। আর আমেরিকার প্রিমিয়র তদন্তকারী এজেন্সি 'ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন'-র (এফবিআই) মাথায় বসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ জানিয়েছেন, এটা তাঁর জীবনের সবথেকে বড় সম্মান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো আবার আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়ে শপথগ্রহণের আগে দাবি করেন, 'আমার মনে হয়, ওই পদে ও সেরা হতে চলেছে।' সেইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, 'এজেন্টরা এই ছেলেটাকে খুবই ভালোবাসে।'
সমস্যায় জর্জরিত এফবিআইয়ের দায়িত্বে কাশ
এজেন্টরা ‘ভালোবাসলেও’ এফবিআই ডিরেক্টর হিসেবে কাশের কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। কারণ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে এফবিআই। গত কয়েক মাস ধরে এফবিআইয়ের কয়েকজন বর্ষীয়ান আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে হিংসার (ট্রাম্প সমর্থকদের কাজ বলে অভিযোগ করা হয়) ঘটনায় যে হাজার-হাজার এজেন্ট যুক্ত ছিলেন, তাঁদের নাম চেয়ে পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
১,৫০০ অফিসারকে অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা কাশের?
তাইরমধ্যে কাশ জানিয়েছেন, এফবিআইয়ে বড়সড় পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। আর সেই লক্ষ্যেই ওয়াশিংটনে এফবিআইয়ের সদর দফতরের ১,০০০ অফিসারকে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তের ফিল্ড অফিসে পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টির সঙ্গে অবহিত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিনিয়র অফিসারদের কাশ বলেছেন যে ১,৫০০ কর্মীকে অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছেন। যে তালিকায় এমন ৫০০ জনও আছেন, যাঁদের আলাবামার এফবিআইয়ের অফিসে পাঠানো হবে। অর্থাৎ ওয়াশিংটনে এফবিআইয়ের সদর দফতরে অফিসারের সংখ্যা কমিয়ে আমেরিকার অন্যান্য শহরে তাঁদের মোতায়েন করার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন কাশ, সেটার পথেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
কাশ ও গুজরাটের গ্রামের 'বংশবলী'
যে কাশের যোগসূত্র রয়েছে ভারতের গুজরাটের একটি গ্রামের সঙ্গে। গুজরাটের আনন্দ জেলার ভদ্রন গ্রামের আদি বাসিন্দা ছিল কাশের পরিবার। ৭০-৮০ বছর আগে পরিবারের সদস্যরা উগান্ডায় পাড়ি দিয়েছিলেন। কাশ যে পতিদার সম্প্রদায়ের ছেলে, তার সদস্যরা জানিয়েছেন যে নয়া এফবিআই ডিরেক্টরের কাছের সম্পর্কের সব আত্মীয়রাই বিদেশে আছেন। তাঁরা যে 'বংশবলী' রেখেছেন, তাতে কাশের বাবা প্রমোদের নাম আছে। তবে ‘বংশবলী’-তে এখনও কাশের নাম তোলা হয়নি।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আনন্দের বিজেপি সভাপতি রাজেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, কাশের পরিবারের কোনও সদস্য যখন ভারতে ফিরে আসবেন, তখন 'বংশবলী'-তে নয়া প্রজন্মের নাম যুক্ত করার অনুমতি চাওয়া হবে। আর সেই অনুমোদন পেলে এফবিআইয়ের ডিরেক্টরের নাম যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন আনন্দের বিজেপি সভাপতি। যে কাশ প্রথম ইন্দো-মার্কিন হিসেবে এফবিআইয়ের প্রধান হলেন।