ছিল বিভিন্ন চুক্তি। কূটনৈতিক কারণও ছিল। করোনা টিকা উত্পাদনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তা রফতানি করেছে ভারত।তবে বর্তমানে শীর্ষে করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে তুঙ্গে টিকার চাহিদা। ফলে, পরিস্থিতি সামাল দিতে রফতানিতে রাশ টানতে চাইছে কেন্দ্র। বরং বিদেশ থেকে আমদানি দিয়ে দেশের ঘাটতি মেটানোই এখন লক্ষ্য।হঠাত্ই কমানো হল রফতানির পরিমাণগত জানুয়ারির শেষ থেকে মার্চ মাসের মধ্যে বিদেশে প্রায় ৬.৪ কোটি ডোজ রফতানি করেছে ভারত। কিন্তু এপ্রিলে হঠাত্ই কমে গিয়েছে সেই সংখ্যা। চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ১২ লক্ষ ডোজ রফতানি হয়েছে বিভিন্ন দেশে।হঠাত্ই রফতানির গতিতে পতন কেন? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, দেশের এখন 'আপদকালীন পরিস্থিতি'। তাই, যে টিকা উত্পাদন হচ্ছে, তাই দিয়ে আগে দেশের চাহিদা মেটানোই লক্ষ্য।। COVAX প্রোগ্রামবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) কোভ্যাক্স প্রোগ্রাম ও GAVI টিকা চুক্তির শর্ত মেনে এতদিন বিদেশে রফতানি করছিল ভারত। কারণ, এই চুক্তিগুলির মূল উদ্দেশ্যই হল বিশ্বজুড়ে টিকা সমানভাবে ভাগ করা। এমনকি ভারতে প্রস্তুত টিকা পাওয়ার কথা পাকিস্তানেরও।করোনা সংক্রমণ শীর্ষে চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে দ্রুত টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা। তারপর থেকে টানা চারদিন দেশে নয়া করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু'লাখের বেশি থাকছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের চাহিদা আগে মেটানোকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্র।বিদেশি টিকায় সায়শুরুতে কেবলমাত্র ভারতে উত্পাদিত টিকাতেই জোর দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদানি করা টিকাও ব্যবহারে সায় দেওয়া হয়েছে। এপ্রিলেই রুশ টিকা স্পুটনিক V-এর আমদানি শুরু হবে। বিশ্বজুড়ে প্রভাববিশ্বের ৬০টি অতি-দরিদ্র দেশে এর প্রভাব পড়ছে। মূলত আফ্রিকা মহাদেশের এই দেশগুলিতে টিকা উত্পাদনের পরিকাঠামো নেই। তাই আন্তর্জাতিক চুক্তিই ভরসা।