গত ২০২৪ সালে কাানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে লাদাখে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে। এহে পরিস্থিতিতে দিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং দাবি করলেন, ভারত ও চিনের সম্পর্কের নয়া সূচনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, মোদী-জিনপিং বৈঠকের পর থেকে পৃথক ভাবে বেজিং সফরে গিয়েছেন ভরতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। এই সব সফরের ফলে 'সীমান্ত ইস্যু এবং পারস্পরিক সমঝোতার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া' সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফেইহং। উল্লেখ্য, তৃতীয় চিন-ভারত যুব সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন চিনা রাষ্ট্রদূত। (আরও পড়ুন: চালু হবে 'গোল্ড কার্ড', মার্কিন নাগরিত্বের টিকিট বিক্রির ঘোষণা ট্রাম্পের)
আরও পড়ুন: ইউনুসের বাংলাদেশকে কাছে টানতে নয়া ছক, 'রেড কার্পেট' বিছিয়ে দিল চিন
এদিকে সম্প্রতি চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তার আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেজিং গিয়েছিলেন অজিত ডোভাল। দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ডোভাল। এই বৈঠক দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে ফের অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এদিকে বিক্রম মিশ্রির সফরকালে কৈলাস মানসরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে সম্মত হয়েছিল চিন। এরই সঙ্গে সীমান্ত পার নদী সমঝোতাতেও সম্মত হয়েছিল বেজিং। এদিকে চিন চলতি বছরের শেষের দিকে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। বেজিং চাইছে যে মোদী সেই সম্মেলনে অংশ নিতে চিনে পা রাখবেন।
এই আবহে ফেইহং বললেন, 'গতবছর কাজানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের পর থেকে দুই পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ সব ক্ষেত্রে আলোচনা শুরু করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশই পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছেছে। এর ফলে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে।' এদিকে চিনা রাষ্ট্রদূতের কথায়, বিশ্বের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হল ভারত ও চিনের সম্পর্ক। তিনি বলেন, দুই দেশই আন্তর্জাতিক শক্তিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে মোদী এবং জিনপিং মুখোমুখি হয়েছিলেন। পাঁচ বছরে প্রথমবার দুই প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা দেখা করেন। সেই সাক্ষাতের দিন কতক আগেই লাদাখে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছিল। অবশ্য, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভারত 'ধীরে চলো নীতি' অবলম্বন করতে চায়। এই আবহে গত সপ্তাহে যখন চিনা বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে জয়শংকর দেখা করেন, তখন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক ভরসা তৈরি করা খুবই প্রয়োজন। এবং তা সম্ভব হবে সীমান্তে যৌথভাবে শান্তি বজায় রাখার মাধ্যমে।