ভিডিয়োকন ঋণকাণ্ডে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এমডি এবং সিইও চন্দা কোচরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আপিল ট্রাইব্যুনাল। এমনটাই দাবি করা হয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে। একই সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। এই রায়ের ফলে ইডি এখন চন্দা কোচরের একাধিক মূল্যবান সম্পত্তি আইনি ভাবে বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।
৩ জুলাই ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ৩০০ কোটি টাকার একটি ঋণের বিনিময়ে ৬৪ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন ঘটেছে, যা অপরাধলব্ধ আয় হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত পূর্বের একটি আদেশকে উল্টে দিয়েছে যা চন্দার পক্ষে গিয়েছিল।চন্দা কোচরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে নিজের স্বামী দীপক কোচরের কোম্পানিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। অভিযোগ, তিনি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও থাকাকালীন সময়কালে নিজে নেতৃত্ব দিয়ে ভিডিয়োকন গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে একাধিক ঋণ মঞ্জুর করেছিলেন।২০০৯ সালে, কোচর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি ভিডিয়োকন ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডকে ৩০০ কোটি টাকার টার্ম লোন অনুমোদন করে। এরপর ওই অর্থ একাধিক ভিডিয়োকন গ্রুপ কোম্পানির মাধ্যমে ঘুরিয়ে দীপক কোচরের সংস্থা ‘নুপাওয়ার রিনিউয়েবল লিমিটেড’-এ বিনিয়োগ করা হয়।
ইডি এই মামলায় চন্দার একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এরমধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ইনভেস্টমেন্ট, এবং মূল্যবান স্থাবর সম্পত্তি। শুধুমাত্র ১০.৫ লাখ টাকা নগদ ফেরত দেওয়া হয়েছে চন্দাকে, কারণ তিনি সেই অর্থের উৎস যথাযথভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন।সিবিআই এই মামলায় ২০১৯ সালে একটি এফআইআর দায়ের করে। তদন্তের পর সংস্থাটি ১১,০০০ পাতার এক বিশাল চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে চন্দা কোচর, তাঁর স্বামী দীপক কোচর এবং ভিডিয়োকন গ্রুপের প্রোমোটার ভি এন ধূতের নাম রয়েছে।সিবিআই অভিযোগ করেছে যে, কোচর ও অন্যরা ষড়যন্ত্র করে ভিডিয়োকন সংস্থাকে ঋণ মঞ্জুর করেছেন এবং এর বিনিময়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। মোট ১,৮৭৫ কোটি টাকার ঋণ ছয়টি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। পরে ওই ঋণের পরিমাণ পুনর্গঠন করে ১,৭৩০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়, যার মধ্যে ১,০৩৩ কোটি টাকা এখনও বকেয়া।