১৯৯৫ সালে তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেছিলেন। পরে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। বাজপেয়ী জমানায় ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভার স্পিকার ছিলেন তিনি। এর আগে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনি।
প্রয়াত মনোহর জোশী
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর জোশী শুক্রবার ভোরে প্রয়াত হয়েছেন। ভোর তিনটে নাগাদ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। শারীরিক সেই সব জটিলতার কারণেই তিনি মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে ভরতি ছিলেন মনোহরবাবু। (আরও পড়ুন: 'চুরি' হয়েছে সাধের 'ঘড়ি', শরদের দলকে নয়া নির্বাচনী প্রতীক দিল নির্বাচন কমিশন)
মনোহর জোশীর ছেলে উন্মেশ হিন্দুস্তানটাইমসকে বলেন, 'বাবাকে আইসিইউতে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। বুধবার তাঁর হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। আমরা শিবাজি পার্ক শ্মশানে বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করব। এর আগে তাঁর মরদেহ মাটুঙ্গায় আমাদের বাড়িতে আনা হবে।'
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে থেকে মনোহর জোশীর স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করেছিল। সেই সময়ে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটেছিল। এরপরই তাঁকে হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানে তিনি কয়েকদিন অর্ধ-সচেতন অবস্থায় ছিলেন। মনোহরবাবুকে পুরোপুরি সুস্থ করার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এই আবহে তাঁকে তাঁর শিবাজি পার্কের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর যত্ন করতে থাকেন পরিবারের লোকজন। গতবছর ২ ডিসেম্বর মনোহর জোশীর জন্মদিন পালিত হয়। সেদিন তাঁর সমর্থকরা তাঁকে দাদরে তাঁর অফিসে নিয়ে এসেছিল।