অনেকেই ইচ্ছা থাকে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করার। দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে পড়তে যান অনেকেই। তবে অনেকেই বিদেশ থেকে আর ফিরতে চান না। বিদেশেই সারা জীবন থেকে যেতে চান। অনেকের কাছে বিদেশ মানেই স্বপ্নের জগত। তবে এবার লন্ডনে বসবাসকারী এক ভারতীয় সতর্ক করে দিয়েছেন বিভিন্ন দেশ থেকে ইউকেতে যে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসেন তাঁদেরকে সতর্ক করেছেন তিনি।
তাঁর সতর্কবার্তা, এখানকার চাকরির বাজার বেশ খারাপ। দয়া করে এখানে পড়তে আসার কথা ভাববেন না।
এক্স হ্যান্ডলে তিনি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে জাহ্নবী জৈন নামে ওই মহিলা লিখেছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি ভারতে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপর তিনি ইউকে-তে যান পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জনের জন্য। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ৯০ শতাংশ ব্যাচমেটই ফেরত চলে গিয়েছে দেশে। তাঁরা ইউকে-তে চাকরি পাচ্ছেন না। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'কোনও চাকরি নেই। অনেকেই আমাদের টেক্সট করেন যে কীভাবে ইউকে-তে মাস্টার্স করার জন্য যেতে হয়। আমি তাদেরকে বলব এখানে আসবেন না। আমার ব্যাচের ৯০ শতাংশকেই ফিরে যেতে হয়েছে। এখানে কোনও কাজ নেই। যদি পয়সা নষ্ট করার মতো অবস্থা না থাকে তবে এখানে আসবেন না।'
তিনি নিজের জন্যও চাকরি জোটাতে পারছেন না। তাঁর মতে যাদের প্রচুর টাকাপয়সা রয়েছে তাদের জন্য এই ইউকে। এখানে যারা সিরিয়াস প্রফেশনাল তারা আসবেন না। তিনি জানিয়েছেন, এতটা খারাপ এখানে ছিল না। তাঁর মতে আগে ৬০-৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী গ্র্যাজুয়েশনের পরে চাকরি পেয়ে যেতেন এখানে।
এদিকে তিনি এই পোস্ট করার পরে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই ইউকে যেতে চান। অভিভাবকরাও চান তাদের সন্তানরা যেন বিদেশে পড়াশোনা করতে যেতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যারা ইউকে তে পড়াশোনা করছেন বা পড়াশোনা করতে যেতে চান।
দুটি বিষয় নিয়ে অত্যন্ত চর্চা চলছে। প্রথমত ইউকেতে ভিসার পলিসির দ্রুত বদলে গিয়েছে। আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে ভিসা নীতি। সেই সঙ্গেই সেখানে গিয়ে চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে।
এক নেটিজেন লিখেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলিতে গিয়ে জীবন গড়া আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চাকরি পাওয়া শক্ত। আবার প্রতিযোগিতাও ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
অপর একজন লিখেছেন ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে ঝুঁকিটাও ভাবা দরকার।