আইআইটি ধানবাদ। ভর্তি হওয়ার জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিল ১৭,৫০০ টাকা। আইআইটি ধানবাদে ভর্তি হওয়ার জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিল ১৭,৫০০ টাকা। উত্তরপ্রদেশের ওই ছাত্রের হাতে মাত্র ৪দিন বাকি ছিল এই ফিজটা দেওয়ার ক্ষেত্রে। এদিকে ওই ছাত্রের বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। তিনি ছেলের ফিজ দেওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তিনি ফিজ মেটাতে পারছিলেন না। এর মধ্যে ভর্তির দিন পেরিয়ে যায়।
এদিকে তিন মাস ধরে ওই ছাত্রের বাবা এসসিএসটি কমিশন, ঝাড়খণ্ড ও মাদ্রাজ হাইকোর্টের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই সুরাহা মিলছিল না। অবশেষে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। আর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, আমরা এমন একজন প্রতিভাবান ছাত্রকে হারিয়ে যেতে দিতে পারি না। সে ঝাড়খণ্ড লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে গিয়েছিল। চেন্নাই লিগাল সেল অথরিটির কাছে গিয়েছিল। আর শেষে তিনি যান হাইকোর্টে। তিনি একজন দলিত ছাত্র। প্রধান বিচারপতি বলেন, আবেদনকারীর মতো এমন একজন প্রতিভাবান ছাত্র যিনি একেবারে প্রান্তিক শ্রেণিতে থাকেন যিনি ভর্তির জন্য সবরকম চেষ্টা করেছেন তিনি হারিয়ে যান এটা আমরা চাই না। আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যাতে আইআইটি ধানবাদে তাকে ভর্তি করা হয়, যে ব্যাচে তাঁর ভর্তি হওয়ার কথা সেখানে যেন তাকে ভর্তি নেওয়া হয়।
এদিকে ছাত্রের আইনজীবী বলেন, ছাত্রের বাবা রোজ ৪৫০ টাকা করে আয় করেন। তার কাছে ১৭,৫০০ টাকা জোগাড় করাটা কঠিন। তিনি গ্রামের লোকের কাছ থেকেও এজন্য টাকা চাইছেন।
এরপরই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি টাকা জোগাড় করতে পারেননি বলেই ফিজ দিতে পারেননি। আমাদের এটা দেখা প্রয়োজন।
এরপরই সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ ধারা প্রয়োগ করে। এই ধারার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট ন্যায় বিচারের জন্য যে কোনও নির্দেশ দিতে পারে। সেই নির্দেশ মোতাবেক সুপ্রিম কোর্ট আইআইটি ধানবাদকে নির্দেশ দেয় যাতে অতুল কুমারকে ভর্তি করে নেওয়া হয়।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, অল দ্য বেস্ট। আচ্ছা করিয়ে। ১৮ বছর বয়সি ওই ছাত্রকে একথা বলেন চিফ জাস্টিস।
ওই ছাত্র বলেন, আমি আসন পাচ্ছি। আমি খুব খুশি। আদালত বলছে আমার আসন ছিনিয়ে নিতে পারবে না আমার আর্থিক দুরবস্থার জন্য। যে ট্রেনটা উলটে গিয়েছিল সেটা আবার ঠিকঠাক জায়গায় এসেছে।