দিল্লিতে ফের একবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। আজ বেলার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে প্রশান্ত বিহার এলাকায় একটি পিভিআর সিনেমা হলের সামনে। বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সকাল ১১টা ৪৮ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণ সংক্রান্ত ফোন গিয়ছিল দিল্লি দমকলের কাছে। এরপরই দমকলের একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কারও হতাহতের ঘটনা সামনে আসেনি। তবে কী থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়। এর নেপথ্যে নাশকতার কোনও ছক আছে, নাকি এটা নিছকই কোনও দুর্ঘটনা, তাও জানা যায়নি এখনও। পুলিশ জানিয়েছে, একটি মিষ্টির দোকানের পাশে পার্কের সীমানা প্রাচীরের সামনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাউডার জাতীয় কিছু পদার্থ মিলেছে। তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি ইস্যুতে মোদীকে চিঠি ৬৮ জন প্রাক্তন বিচারপতি, IAS-IPSদের)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হল ইসকনের অফিস, ভক্তদের নিয়ে গেল সেনা: রিপোর্ট
আরও পড়ুন: বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে, হুমকি পেলেন ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে মনোনীত সদস্যরা
এর আগে গত ২০ অক্টোবর দিল্লিতে অবস্থিত সিআরপিএফ স্কুলে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই ঘটনায় খলিস্তানি যোগ থাকার সম্ভাবনা সামনে এসেছিল। সেই ঘটনাতেও বিস্ফোরণস্থল থেকে সাদা পাউডারের মতো পদার্থ মিলেছিল। অক্টোবরের সেই বিস্ফোরণের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল, যাতে দাবি করা হয়েছে যে খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় এজেন্টদের অপারেশনের প্রতিশোধ নিতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় 'খলিস্তান জিন্দাবাদ' ওয়াটারমার্ক আছে। তাতে বলা হয়, 'যদি ভারতের কাপুরুষ এজেন্সি মনে করে যে তারা গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের সদস্যদের চুপ করাতে পারবে, তাহলে তারা মূর্খের জগতে বাস করছে। তারা চিন্তাও করতে পারবে না যে আমরা তাদের কথা চাছে আছি এবং যেকোনও সময় হামলা চালাতে পারি।' (আরও পড়ুন: 'গোপন কথা' লুকোতে লিভইন পার্টনারকে ধর্ষণ করে খুন, পরে দেহ ৪০ টুকরো করল যুবক)
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনজীবী খুনে ধৃত ৭ হিন্দু, হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২০: রিপোর্ট
উল্লেখ্য, দিল্লির রোহিণী জেলার প্রশান্ত বিহার এলাকায় অবস্থিত সিআরপিএফ-এর এক স্কুলের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল ২০ অক্টোবরের সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, কর্তপক্ষকে 'বার্তা' দিতেই এই বিস্ফোরণ করানো হয়েছিল। এই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এছাড়াও এই মামলার তদন্তে নেমেছে এনআইএ। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, সিআরপিএফ, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি-ও তদন্ত শুরু করে এই ঘটনায়। কে বা কারা ওই বিস্ফোরক রেখেছিল, তাদের শনাক্ত করতে বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। সিআরপিএফ স্কুলের আশেপাশে থাকা মোবাইল টাওয়ারগুলি থেকেও তথ্য সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখা হয়। (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর পর ফের এক হিন্দু সন্ন্যাসী গ্রেফতার বাংলাদেশে, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: 'হিন্দুদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ...', বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
সিআরপিএফ স্কুলের সেই বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল বেশ কয়েক মিনিটের জন্যে। আশেপাশের এলাকায় তীব্র রাসায়নিকের গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছিল সেই সময়ে। এই বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হননি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে সিআরপিএফ স্কুলের প্রাচীর ভেঙে যায় এবং বেশ কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক এমন ভাবে রাখা হয়েছিল যাতে ১০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত একটি 'শকওয়েভ' বা কম্পন তৈরি হয়। বিস্ফোরকে ‘রিফ্লেকটিভ প্রেসারের’ মাধ্যমে বিশাল এলাকা জুড়ে কম্পন সৃষ্টির কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে কঠিন এবং তরল পদার্থের মধ্যে উচ্চচাপ সৃষ্টি করে গ্যাসে পরিণত করা হয়। বিস্ফোরণের পর সেই গ্যাস খুব জলদি আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরেই শক্তিশালী একটি কম্পন অনুভূত হয়।