সাবধানতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও পেশার সুবাদে করোনা সংক্রমণের শিকার হলেন দিল্লির এক পরিবারের ৪ সদস্য।পরিবারের কর্তা দিল্লি পুলিশের কর্মী, কর্ত্রী পেশায় হাসপাতালের নার্স। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করা হলে দুই ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন দিল্লির মডেল টাউনের পুলিশ কলোনিবাসী দম্পতি। তাঁরা জানতেন, পেশার কারণে ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে তাঁদের পরিবার।হাসপাতালের ডিউটিতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হলেও পরিবারের মধ্যে যাতে জীবাণু সংক্রমণ না ঘটে, তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন পরিবারের সকলে। শুধু তাই নয়, তাঁদের আত্মী পরিজন ও সহকর্মীরাও যাতে তাঁদের কারণে সংক্রমণের শিকার না হন, সে দিকেও নজর রেখেছিলেন তাঁরা।বাড়িতে প্রত্যেকে আলাদা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। একমাসের বেতন-সহ ছুটিতে পাঠানো হয় পরিচারিকা ও গাড়ি ধোওয়ার কর্মীকে। তাঁদের লকডাউনে নিজেদের বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শও দেন কর্তা-গিন্নি।বাড়ির কর্ত্রী চাকরিতে হাজিরা দিতে থাকলেও কয়েক মাস আগে হার্টে অস্ত্রোপচার হওয়া তাঁর ৫২ বছর বয়েসি পুলিশকর্মী স্বামী বকেয়া ছুটি নিয়ে বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমস্ত সংযোগ ছেঁটে ফেলে ওই পরিবার।দুঃখের বিষয়, এত সাবধানতা মেনেও শেষ পর্যন্ত করোনার আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে পরিবারটি। গত ১১ থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে দম্পতি ও তাঁদের বছর একুশের ছোটছেলে সংক্রামিত হয়েছেন। গত সপ্তাহ থেকে তাঁদের লোক নায়ক হাসপাতালের একটি ঘরে তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বছর তেইশের বড়ছেলেকে নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।