এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম মাউয়ি দ্বীপের বিমানবন্দরের কর্মীরা। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি বিমান সেখান অবতরণ করার পর বিমানের চাকার গর্ত থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো ঘাবড়ে যান বিমানবন্দরের কর্মীরা। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।
বুধবার এই ঘটনাটি নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতেই প্রকাশ করা হয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার। ওই দিন শিকাগো শহর থেকে ফ্লাইট ২০২ মাউয়ি দ্বীপের কাহুলুই বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর সেখানকার কর্মীরা আবিষ্কার করে বিমানের চাকার গর্তে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে! প্রসঙ্গত, বিমানের এই অংশটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 'ল্য়ান্ডিং গিয়ার'।
বিমান সংস্থা ও পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে উড়ানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেটি একটি বোয়িং ৭৮৭-১০ শ্রেণির বিমান। এই বিমানের চাকার গর্তটি কেবলমাত্র বাইরে থেকেই খোলা ও বন্ধ করা যায়। আর সেই কারণেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তদন্তকারীরা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না, কীভাবে কোনও ব্যক্তি ওই গর্তের কাছাকাছি গেলেন এবং তাতে পড়ে গেলেন!
ইমেল মারফত পাঠানো একটি বিবৃতিতে মাউয়ির পুলিশ জানিয়েছে, তারা অত্যন্ত 'সক্রিয়ভাবে' এই মামলার তদন্ত করছে। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা বা মাউয়ি পুলিশ - কোনও পক্ষই এর থেকে বেশি তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি।
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর তরফে দাবি করা হচ্ছে, তারা এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে বুধবারই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। তাদের জন সংযোগ আধিকারিককে ফোন করেছিল এপি। কিন্তু, সেই আধিকারিককে ফোনে পাওয়া যায়নি। উলটে তাঁকে করা সেই 'কল' ভয়েস মেলে চলে যায়। এবং পুরবর্তীতে, ইমেল করে সংবাদ সংস্থার প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল অ্য়ামস্টারডামের স্কিফোল বিমানবন্দরে। সেখানে ডাচ বিমান সংস্থা কেএলএম-এর একটি বিমানের ইঞ্জিনে পড়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের মে মাসে।
তবে, কীভাবে সেই ঘটনা ঘটেছিল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সেটা কোনও দুর্ঘটনা ছিল, নাকি আত্মহত্যা, তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।