২৬তম বিবাহ বার্ষিকী। আর সেই দিনই করুণ পরিণতি এক দম্পতির। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের নিথর দেহ। বিবাহ বার্ষিকীর দিনেই করুণ পরিণতি তাঁদের। বিবাহ বার্ষিকীর পার্টি শেষ হওয়ার পরে সবাই যখন ফিরে গিয়েছেন তখনই কি কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা?
সূত্রের খবর, একেবারে বর কনের বেশে সেজেছিলেন তাঁরা। যেন সদ্য বিয়ে করেছেন। গোটা পার্টিতে একেবারে হাসিখুশি। কিন্তু রাতেই হল ভয়াবহ ঘটনা।
পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির কিছু আর্থিক সমস্যা ছিল। তাঁদের কোনও সন্তান ছিল না। এনিয়ে তাঁদের মধ্য়ে কিছুটা দুঃখ ছিল।
এদিকে এই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁরা একটা ভিডিয়ো করেছিলেন। সেই ভিডিয়ো তাঁরা সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিকে ওই দম্পতির পরিজনরা দেহ দুটি উদ্ধার করেন।
স্বামীর দেহ ঝুলছিল রান্নাঘর থেকে। আর স্ত্রীর নিথর দেহ পড়েছিল একটা বিছানার উপর।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রথমে স্ত্রীর মৃত্য়ু হয়। এরপর স্বামী সেই দেহটি নামিয়ে ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেন। এরপর তিনিও আত্মহত্যা করেন বলে মনে করা হচ্ছে। সিলিংয়ের সঙ্গে স্কার্ফের সঙ্গে তাঁর দেহ ঝুলছিল।
অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা! বিবাহ বার্ষিকীর দিনই আত্মহত্যা করলেন এক দম্পতি। লিখেছেন সুইসাইড নোটও। তবে বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে অনেককে নেমন্তন্নও করেছিল ওই দম্পতি। রাতে পার্টিও হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়িতে লোকজন ছিল। এরপর একে একে যে যার বাড়িতে ফিরে যান। এরপরই ভয়াবহ ঘটনা। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা।
নাগপুরের মার্টিননগর কলোনিতে থাকতেন ৫৭ বছরের জেরিল ড্যামসন অস্কার মনক্রিফ। স্ত্রীও থাকতেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর বয়স ৪৬বছর।
তাঁরা একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছেন। একটা উইলও করে গিয়েছেন। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে শেষ লেখাতে তাঁরা কাউকে দায়ী করেননি। এদিকে ঠিক কী হচ্ছিল তাঁদের মনে সেটা অবশ্য় জানা সম্ভব নয়। তবে আপাতভাবে মনে হচ্ছে আর্থিক কিছু সমস্যা ছিল। সেই সঙ্গেই সন্তান না থাকাটা একটা বড় কারণ হতে পারে।