মণিপুরের অশান্তি ঘিরে বছর শুরুর আগেই ‘অনুশোচনা’ জানিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তাঁর সেই বার্তা নিয়ে পাল্টা কংগ্রেসের তরফে বিজেপিকে খোঁচা দেওয়া হয়। কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ, বীরেন সিংয়ের বক্তব্যের পর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন। তারপরই জবাব দেন বীরেন সিং।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং গত বছরের শেষলগ্নে মণিপুরের হিংসা নিয়ে ‘অনুশোচনা’ প্রকাশ করেন। বীরেন সিং বলেছিলেন,' এই পুরো বছরটি খুব দুর্ভাগ্যজনক ছিল। আমি আফসোস অনুভব করছি এবং গত ৩ মে থেকে আজ অবধি যা ঘটছে তার জন্য আমি রাজ্যের জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে চাই। অনেক মানুষ তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। বহু মানুষ ঘর ছেড়েছে। আমি সত্যিই অনুশোচনা বোধ করছি। আমি ক্ষমা চাইতে চাই।' এরপরই বীরেন সিংয়ের বার্তাকে খোঁচা দিয়ে কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মণিপুরে কেন মোদী গেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন,' কেন প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে গিয়ে সেখানে একই কথা বলতে পারেন না? তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ৪ মে, ২০২৩ সাল থেকে ওই রাজ্যে যাওয়া এড়িয়ে গিয়েছেন, এমনকি তিনি দেশ এবং বিশ্বজুড়ে সফরও করছেন। মণিপুরের মানুষ এই অবহেলাটা একদমই বুঝতে পারছে না।'
(WB Weather Winter Forecast: বছরের শুরুতেই ধুন্ধুমার ইনিংস শুরু শীতের! আগামী কয়েকদিন বাংলার আবহাওয়া কেমন থাকবে? )
( Chetla Theft Case:চেতলায় ১ কোটির সামগ্রী চুরির অভিযোগে বাড়ির পরিচারক-পরিচারিকা সহ ১১ ধৃত! খোয়া যায় হিরের গয়না সহ কী কী?)
এরপর কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে বক্তব্য রাখেন বীরেন সিং। আর সেই সূত্র ধরেই তিনি খোঁচা দেন কংগ্রেসকে। বীরেন সিং বলেন,' আপনার সহ সকলেই অবগত যে কংগ্রেসের পুরনো পাপের কারণে মণিপুর আজ অশান্তিতে রয়েছে, যেমন মণিপুরে বারবার বার্মিজ উদ্বাস্তুদের বসতি স্থাপন এবং রাজ্যে মিয়ানমার ভিত্তিক জঙ্গিদের সাথে এসওও চুক্তি স্বাক্ষর যখন পি চিদাম্বরম ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।' এরপর, রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর আগে রাখা নিজের ক্ষমাসূচক বার্তা নিয়ে বীরেন সিং লেখেন,'আজ আমি যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছি তা ছিল বাস্তুচ্যুত এবং গৃহহীন হয়ে পড়া লোকদের জন্য আমার দুঃখ প্রকাশের একটি আন্তরিক বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, ক্ষমা করার ও ভুলে যাওয়ার জন্য আবেদন ছিল। তবে আপনি এর মধ্যে রাজনীতি নিয়ে এসেছেন। '