কর্মীর টাইপিংয়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিটি গ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের ৮১ ট্রিলিয়ন ডলার বা ভেঙে বললে ৮০ লাখ কোটি ডলার লেনদেনে গলদে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।জানা গিয়েছে, গত এপ্রিলে ভুল করে একজন গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ২৮০ ডলারের পরিবর্তে ৮১ ট্রিলিয়ন ডলার জমা করা হয় সিটি গ্ৰুপের তরফে। ৮১ ট্রিলিয়ন ডলার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭০৮১ লাখ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, সংস্থার দুই কর্মী এই লেনদেনের বিষয়টি প্রথমে মিস করে যান।এর ৯০ মিনিট পরে তৃতীয় এক এক কর্মী লেনদেনে যে গলদ হয়েছে, তা ধরে ফেলেন।
সিটি গ্রুপের এক মুখপাত্র বলেন, ' গ্রাহকের সঙ্গে এই পরিমাণের অর্থ লেনদেন বাস্তবে না হওয়া সত্ত্বেও, আমাদের ডিটেক্টিভ কন্ট্রোলস তাৎক্ষণিকভাবে দুটি সিটি লেজার অ্যাকাউন্টের মধ্যে ইনপুট ত্রুটি সনাক্ত করেছে এবং আমরা এন্ট্রিটি উল্টে দিয়েছি। আমাদের প্রভেনটেটিভ কন্ট্রোলস ব্যাঙ্ক থেকে যে কোনও তহবিল বের হওয়াও বন্ধ করে দিত।' তবে এই ঘটনায় ব্যাঙ্ক বা গ্রাহকদের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসে সিটির ৮১ ট্রিলিয়ন ডলারের লেনদেনের সমস্যা হয়েছিল। ব্যাকআপ সিস্টেমের কারণে ইনপুটে ত্রুটি দেখা দেয়। এছাড়াও মার্চের মাঝামাঝিতে ব্রাজিলের এক গ্রাহকের এসক্রো অ্যাকাউন্টের জন্য নির্ধারিত ২৮০ ডলারের চারটি লেনদেন ব্লক করা হয়েছিল। পরে পেমেন্ট দ্রুত করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও ব্যাঙ্কের সিস্টেম আটকে ছিল এবং স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করা যায়নি।
গত বছর সিটি গ্ৰুপে মোট ১০টি ১ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। যদিও তা গত কয়েক বছরের তুলনায় কমেছে। মার্কিন ব্যাঙ্কিং সেক্টরে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আর্থিক প্রতারণার ঘটনা অস্বাভাবিক। সিটির ভুল রেভলন পেমেন্টের ফলে তৎকালীন চিফ এক্সিকিউটিভ মাইকেল করব্যাটকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে বড় অঙ্কের জরিমানাও করা হয় এবং সমস্যাগুলি সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে মাইকেল করব্যাটের পর সিটির চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে দায়িত্ব নেন জেন ফ্রেজার। তা সত্ত্বেও ডেটা-সহ একধিক সমস্যার জন্য গত বছর ওসিসি এবং ফেডারেল রিজার্ভ সিটি গ্রুপকে ১৩৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছিল।