'বেগানি শাদি মে আবদুল্লাহ দিওয়ানা!' উদ্ধব ঠাকরে-রাজ ঠাকরে এবং এনসিপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জোট জল্পনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের উৎসাহকে কটাক্ষ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সম্প্রতি শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধব এবং ভাইপো রাজের মুখোমুখি বৈঠকের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে।একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে এনসিপি প্রধান কাকা শরদ পাওয়ারের পুনর্মিলনের জল্পনা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনীতি।
এই আবহে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা (ঠাকরে) ভাই এবং কাকা-ভাইপো (পাওয়ার)। যদি তারা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু আপনারা তো (সংবাদমাধ্যম) অনুমান করছেন। আমি জানি না তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা, কিন্তু আপনার তো ইতিমধ্যেই অধৈর্য হয়ে পড়েছেন। আমি উভয় পরিবার নিয়ে মন্তব্য করে সমস্যা ডেকে আনতে চাই না।' তবে সম্প্রতি উদ্ধব ঠাকরে এক ধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেন, 'মহারাষ্ট্রের মানুষ যা চায় তা অবশ্যই হবে। শিবসেনা (ইউটিবি) এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার অনুগামীদের মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি নেই। চলতি পরিস্থিতিতে আমাদের কী করা দরকার সেটা দলের কর্মী-সমর্থকেরাই ঠিক করে দেবেন।' এদিকে, শিবসেনা (ইউবিটি)-এর মুখপত্র 'সামনায়' শনিবার প্রথম পৃষ্ঠায় উদ্ধব এবং রাজ ঠাকরের একটি পুরানো ছবি প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-গাজার হাসপাতালের নীচে হামাসের ডেরা! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, ঠাকরে পরিবারের দুই ভাই এক হয়ে গেলে চাপে পড়ে যাবেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপি জোটে এমনিতেই তিনি ভাল অবস্থায় নেই। মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে তাঁকে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের অধীনে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করতে হচ্ছে। আবার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রাপ্য মর্যাদা পাচ্ছেন না বলে সম্প্রতি প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, উদ্ধব ও রাজের সম্মানজনক বোঝাপড়া হয়ে গেলে শিন্ডেকেও ফিরিয়ে আনা সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-গাজার হাসপাতালের নীচে হামাসের ডেরা! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে
অন্যদিকে, গত এক-দেড় মাস যাবত আলোচনায় আছেন শরদ পাওয়ার ও তাঁর ভাইপো অজিত। দুই এনসিপি-র মিশে যাওয়া নিয়ে জোর জল্পনা চলছে শরদ ও অজিতের ঘন ঘন দেখাসাক্ষাৎ, বৈঠকের কারণে। অজিত এমনকী সরকারি অনুষ্ঠানেও ডাকছেন কাকা শরদকে। এছাড়া নানা উৎসব, সামাজিক অনুষ্ঠানে শরদের সঙ্গে দেখা করেন অজিত। শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গেও অজিতের সম্পর্ক আগের জায়গায় ফিরেছে। দুই এনসিপি-র মিলন এবং পাওয়ার পরিবারের পুনর্মিলন নিয়ে চর্চার মধ্যেই আলোচনায় ভেসে উঠেছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির ঠাকরে পরিবার।