মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রোষানলের মধ্যেই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তুলো আমদানিতে শুল্ক-মুক্তির ঘোষণা করেছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছে, এই সিদ্ধান্ত দেশে তৈরি পোশাক শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে এবং মার্কিন শুল্কের ধাক্কা সামাল দিতে সাহায্য করবে।
রাশিয়ার থেকে তেল কেনার 'অপরাধে' ভারতের উপরে শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন।আর এরপর থেকেই 'বন্ধু' রাষ্ট্রের উপর ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের কারণ ঘিরে নানা কাটাছেঁড়া চলছে।অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের কাছে তুলো আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিল কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (সিআইটিআই)-এর মতো শিল্প সংস্থাগুলি। তাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই নরেন্দ্র মোদী সরকার তুলো আমদানির উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এই ছাড় কার্যকর হওয়ার আগে, তুলো আমদানির উপর ১১ শতাংশ শুল্ক আরোপিত ছিল।সাময়িক এই সিদ্ধান্তকে দেশের পোশাক শিল্পের জন্য বড় স্বস্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। শিল্পখাতের সংগঠনগুলির দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, শুল্ক ছাড় দিলে এ খাত আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতের তৈরি পোশাক খাত তাদের উৎপাদন খরচ কমাতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন-ডুবেছে রেললাইন, স্কুল-কলেজে ছুটি! ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরী, জারি লাল সতর্কতা
বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, সেপ্টেম্বরের পরও তুলো আমদানিতে এই শুল্কমুক্তির মেয়াদ সরকার বাড়াবে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্কের প্রভাব সামলাতে ভারতের পোশাক রপ্তানিকারকরা এরই মধ্যে উৎপাদন বিকল্প হিসেবে বিদেশে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে। চলতি মাসের গোড়াতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একধাক্কায় ভারতের উপরে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দেন। ভারত যদি রাশিয়ার থেকে তেল কেনে, তাহলে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপাবেন বলেই হুমকি দেন। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় ট্রাম্প প্রশাসন নয়া দিল্লিকে, ইউক্রেনে সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধে মস্কোকে পরোক্ষভাবে অর্থায়নের অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন-ডুবেছে রেললাইন, স্কুল-কলেজে ছুটি! ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরী, জারি লাল সতর্কতা
শুল্ক ইস্যুতে বর্তমানে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বেশ টলমল। ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ভারত কখনওই কৃষকের স্বার্থে আপোস করবে না, অর্থনৈতিক ক্ষতির শঙ্কা থাকলেও না। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ট্রাম্পের শুল্ক দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্তকে 'অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য' বলে অভিহিত করেছে।