একদিন আগেই খুশি মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। দীর্ঘদিন ধরেই মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন ইউনুস। আর ইউনুসের সঙ্গে মোদীর সেই বৈঠকের পরই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তাঁর দাবি, ইউনুসের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যে নাকি হাজার-হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে এবং ভারতীয় 'র' এজেন্টদের নিয়োগ করা হয়েছে। সেই ভারতীয় এজেন্টরা নাকি 'অগস্ট বিপ্লবকে' কালিমালিপ্ত করতে তৎপর বাংলাদেশে। (আরও পড়ুন: 'বাবু...', নিহত বায়ুসেনা পাইলটের দেহ জড়িয়ে কান্না বাগদত্তার, দেখুন সেই ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: ভারতে ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হতে বাংলাদেশ থেকে 'কান্নার সুর' ভাসাল জামাতের ছাত্রশিবির
এদিকে লেবার পার্টির নেতা ইরান বলেন, 'স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে তারাই দুর্নীতি, লুটপাট ও একদলীয় শাসন চালিয়েছেন। বিগত সরকারগুলো রাজনীতিকে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করেছিল। রাজনীতির এই অসুস্থ ধারাকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে অর্থবহ রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি।' এরই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, 'পরিকল্পিতভাবে ভারতীয় এজেন্টরা অপতৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশে।' (আরও পড়ুন: '...যথেষ্ট আন্তরিক', মোদী-ইউনুসের ৪০ মিনিটের বৈঠকে 'আনন্দ পেয়েছে' BNP)
আরও পড়ুন: আরও বড় ধস মার্কিন শেয়ার বাজারে, ডাও জোনসে পতন ২২৩১ পয়েন্ট, নাসডাক পড়ল ৫.৮২%
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা জল্পনার মাঝে ৪ এপ্রিল অবশেষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি হন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উভয় পক্ষই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিষয় থেকে উস্কানিমূলক মন্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অপরদিকে ইউনুসের তরফ থেকে শেখ হাসিনার ইস্যু উত্থাপন করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে মিশিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই। মোদীর হুঁশিয়ারির পরও ফের এমন একটি মন্তব্য করা হল, যার থেকে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে।
উল্লেখ্য, মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, 'গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকানো নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদিকে এমন কিছু যেন না বলা হয়, যাতে উত্তেজনা বাড়ে। এদিকে বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিষয় নিয়ে তদন্তের আর্জি জানান। এদিকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টির ওপর বাংলাদেশি সরকারকে জোর দিতে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী।' এদিকে এই বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। এছাড়া তিস্তা এবং গঙ্গা নিয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার। আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।'