বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Bangladesh-India Trade: ভারতের সাহায্যে চিনকে হারাবে বাংলাদেশ, হারবে নিজের কাছেও! দাবি রিপোর্টে
পরবর্তী খবর
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা বড় ভূমিকা আছে সেখানকার গার্মেন্টস শিল্পের। এর জন্যে প্রতি বছর কয়েক 'লাখ বেল' (এক বেল সমান ৪৮০ পাউন্ড বা ২১৮ কিলোগ্রাম) তুলো আমদানি করে বাংলাদেশ। এই আবহে প্রথম আলোর রিপোর্টে দাবি করা হল, ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি ২০২৪–২৫ বাণিজ্য বছরে (বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বাণিজ্য বছর - অগস্ট থেকে জুলাই) তুলো আমদানির ক্ষেত্রে চিনকে ছাপিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এই আবহে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তুলো আমদানি করা দেশ হবে বাংলাদেশ। এই তালিকায় শীর্ষস্থানে আগেও থেকেছে বাংলাদেশ। তবে এই বছর বাংলাদেশ এই তালিকায় থাকার এক আলাদা তাৎপর্য আছে। (আরও পড়ুন: ছাঁটাই কর্মীদের ভয় দেখানো হয়েছিল? কেন্দ্রের রিপোর্ট তলবের আবহে মুখ খুলল ইনফোসিস)
আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ১৫ দিনের মধ্যেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা
আরও পড়ুন: থামানো যাচ্ছে না ডোনাল্ডকে, আরও পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করলেন ট্রাম্প
বিশ্লেষণ করে দেখতে গেলে, বাংলাদেশে গার্মেন্টসের কাজ বেড়েছে, তাই তুলোর চাহিদা বেড়েছে। এই আবহে আমদানিও বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ বাণিজ্য বছর শেষে বাংলাদেশের তুলো আমদানির পরিমাণ ৮০ লাখ বেল হতে পারে। বাংলাদেশের গার্মেন্টসগুলির কাছে পোশাকের অর্ডার বৃদ্ধি পাওয়ায় তুলো আমদানি বেড়েছে। এর আগে গত ২০২৩–২৪ বাণিজ্য বছরে ৭৫ লাখ ৭৫ হাজার বেল তুলো আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। তবে ২০২৪ সালের অগস্ট থেকে অশান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পও নানা অসুবিধা, আন্দোলন দেখেছে। তা সত্ত্বেও ফের 'ট্র্যাকে' ফিরেছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসা। (আরও পড়ুন: 'রাজ্য পতাকা'র দাবি TMC-র মনোরঞ্জনের, BJP-র প্রশ্ন - 'এরপর পৃথক নোট ছাপনো হবে?')
আরও পড়ুন: ভারতে টেসলার কারখানা তৈরি নিয়ে ইলন মাস্কের ‘সমালোচনায়’ ডোনাল্ড ট্রাম্প, বললেন…
আরও পড়ুন: 'বাধ্য করলে আমরা কিন্তু…', বাংলাদেশে ঘুরঘুর করা পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের
আর তুলো আমদানির ক্ষেত্রে চিনকে পিছনে ফেলার ক্ষেত্রে বাংলদেশকে 'সাহায্য' করেছে ভারত। প্রথম আলোর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে ভারতের সুতোর মানের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না বাংলাদেশের সুতো উৎপাদনকারীরা। এই আবহে ভারত থেকে সুতো আমদানি বাড়ছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠনের পরিচালক মহম্মদ খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে জানান, বাংলাদেশে আসা তুলোর একটা বড় অংশই ভারত থেকে সুতো আকারেই আমদানি করা হয়। এরই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে হয়ত শেষ পর্যন্ত ৮০ লাখ বেল তুলো নাও আসতে পারে। কারণ দেশে গ্যাস সংকট চলছে। এর জেরে গার্মেন্সটগুলি পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে পারছে না। এই আবহে গ্যাস সংকটের জেরে নিজেদের দেশে সুতো তৈরি করতে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে। আর সেখানে ভারতের সুতোর কাছে হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ।