আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে এবার প্রবীণ পাইলট এবং এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অপারেশন ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন আরএস সান্ধুকে অন্তর্ভুক্ত করল এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো। আরএস সান্ধু একসময় বোয়িং ৭৮৭ বিমানের পরিদর্শক ছিলেন। এভিয়েশন পরামর্শদাতা সংস্থা এভিয়াজোনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। উল্লেখ্য, গত ১২ জুন যে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি আমদাবাদে ভেঙে পড়েছিল, পরিদর্শক হিসেবে সেটির ডেলিভারি গ্রহণ করেছিলেন আরএস সান্ধু নিজেই। ৩৯ বছর এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে যুক্ত ছিলেন সান্ধু। টাটা গোষ্ঠীর সবকটি এয়ারলাইনের সংযুক্তিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ক্যাপ্টেন সান্ধুকে এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন কেছিলেন এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রধান। এয়ার ইন্ডিয়ার এই প্রাক্তন কর্মীকে বিশেষজ্ঞ হিসেবেই তদন্ত দলে যুক্ত করছে এএআইবি। এদিকে সান্ধু ছাড়া এই তদন্তে আরও বেশ কয়েকজনকে যুক্ত করা হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে।
গত ১২ জুন আমদাবাদ থেকে টেকঅফ করার পরপরই ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ উড়ানটি। সেই বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট ঘিরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল পাইলটদের মধ্যে। বিশেষ করে সেই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো আন্তর্জাতিক সবাদমাধ্যমের রিপোর্টিংয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় পাইলটরা।
এর আগে তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ইঞ্জিনের ফুয়েল সুইচ অফ থাকায় বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। এরপর এ বিষয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ককপিটে দুই পাইলটের কথোপকথনে জানা যায়, বিমানের ফুয়েল সুইচ বন্ধ করে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানের প্রথম অফিসের পাইলট যখন সিনিয়র পাইলটকে জ্বালানি সুইচ কেটে দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন, তখন ক্যাপ্টেন কোনও উত্তর দেননি এবং চুপ করে থাকেন। এই সময় ফার্স্ট অফিসার পাইলট বেশ অবাক হন।
এএআইবির প্রতিবেদনে পাইলটদের মধ্যে কথোপকথনের উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে কোন পাইলট কী বলেছেন তা এই রিপোর্টে বলা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন রিপোর্টের পর ফের একবার আলোচনায় উঠে এসেছে আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার কারণ। এদিকে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের হাতে এই রিপোর্টের বিশদ তথ্য কীভাবে চলে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই আবহে দেখা দেয় বিতর্ক।