কিছুদিন আগে পর্যন্তও সিন্ধুর জল ঘিরে পাকিস্তানের বিলাওয়াল ভুট্টোর তরফে এসেছে ভারতের জন্য যুদ্ধের হুমকি। এদিকে, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের পর এবার জম্মু ও কাশ্মীরে ৪ টি নির্মিয়মাণ জলবিদ্যুৎ প্রজেক্টের কাজ আরও দ্রুত করার পথে হাঁটছে কেন্দ্র। আরও দুটির নকশা অনুমোদনের পরিকল্পনা চলছে। সংশ্লিষ্ট তিন অফিসার সূত্রে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য বলছে, চেনাব নদীর উপর নির্মিত ১,০০০ মেগাওয়াট পাকাল দুল, ৬২৪ মেগাওয়াট কিরু, ৫৪০ মেগাওয়াট কোয়ার এবং ৮৫০ মেগাওয়াট র্যাটলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করা হয়েছে এবং এগুলোর সমাপ্তির তারিখ কয়েক মাস এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ২০২৬ সালের মে থেকে ২০২৮ সালের জুলাইয়ের মধ্যে কমিশনিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, এক অফিসার সূত্রে এই তথ্য এসেছে। র্যাটলে হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের (RHPCL) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, র্যাটলে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি আগামী বছরের মে মাসে কমিশনিং শুরু হওয়ার প্রথম প্রকল্প। RHPCL হল ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড এবং জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (JKSPDC) লিমিটেডের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। গত মাসে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ, জলসম্পদ মন্ত্রক, বেসরকারি ঠিকাদার এবং জেকেএসপিডিসি লিমিটেড সহ স্থানীয় ইউটিলিটিগুলির মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে অন্যান্য রাজ্য থেকে শ্রমিক সংগ্রহ এবং সরবরাহ দ্রুত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এদিকে, তুলবুল নেভিগেশন প্রকল্পের জন্য একটি বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন বা ডিপিআর মূল্যায়ন করছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। উল্লেখ্য, এই প্রজেক্ট ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের আপত্তির কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, তুলবুল প্রকল্প ঘিরে গত কয়েক মাসে একাধিক অফিসারের পরিদর্শন দেখা যায় এলাকায়। এই তথ্য এক স্থানীয় গ্রামবাসীর তরফেই উঠে আসে।
বেশ কিছু অফিসাররা বলছেন যে প্রকল্পের নকশা অনুমোদনের পর উলার প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের শুরুতে শুরু হবে, যা বারামুল্লা এবং সোপোর অংশের মধ্যে নদীর গভীরতা বজায় রেখে ঝিলামের ২০ কিলোমিটার অংশ জুড়ে সারা মরশুমে নৌ চলাচল সক্ষম করবে। এক অফিসার বলছেন,'দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হল এই অঞ্চলে প্রায় ২০০০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুতের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো। এই চারটি প্রকল্প শেষ হলেই কেবল নতুন প্রকল্প সম্ভব হবে।'
(এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড)