ইন্দো-চিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে বুধবার সংসদের অধিবেশেনর মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। শুধু অমিত শাহ নন, সংসদে উপস্থিত অপর মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও এই বাদানুবাদে জড়িয়ে যান।
লোকসভায় অধীর চৌধুরী বলেন, ‘চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে আমরা ক্রমাগত দাবি জানাচ্ছি সংসদে আলোচনার। কিন্তু তা বিবেচনা করা হচ্ছে না। যদিও ১৯৬২ সালে বাজপেয়ীজির আবেদনে সাড়া দিয়ে এমন ধরনের ইস্যুতে আলোচনায় সায় দেন নেহরুজি। সেই সময় ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাতকে কেন্দ্র করে সমস্ত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন নেহরুজি। এবং একটি সর্বসম্মত জনমতে পৌঁছানো গিয়েছিল। সেই ঘটনা কেন আমরা এখন ঘটাতে পারি না? ’ অধীর চৌধুরী এই প্রশ্ন তুলে কার্যত টার্গেট করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এদিকে, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদের এমন বক্তব্যের নিরিখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ জানান,'অধীরজি জিজ্ঞাসা করছেন এখন এটা করা যাচ্ছে না কেন? কারণ তখন সেখানে ভুল ছিল, এই আলোচনা (নেহরু ও বাজপেয়ীর) সম্পন্ন হয়েছিল, যখন হাজার হাজার হেক্টর জায়গা (ভারতের) চলে গিয়েছিল তখন।' (পাখির চোখ ভোটপর্ব! রণকৌশলে শান দিয়ে বিজেপির সংসদীয় বৈঠকে বড় বার্তা মোদীর)
এরপরই শাহের বক্তব্যের নিরিখে আরও জোরালো সওয়াল তোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি দাবি করেন যে, একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলকে যেন লাদাখে যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, লাদাখে চিনের দখলে রয়েছে ভারতের বহু অংশ। তাঁর দাবি, সেই অংশ নিয়ে পর্যালোচনা যাতে করতে পারে সেই প্রতিনিধি দলটি, সেই সুযোগ করে দেওয়া হোক। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন ‘আপনাদের কি সেই সাহস আছে, যে আপনারা একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল আয়োজন করতে পারেন? কোথায় লুকোচ্ছেন? আপনারা কি চিনকে ভয় পাচ্ছেন?’
এদিকে সংসদে নিজের দাবির সপক্ষে অধীর চৌধুরী বলেন, চিন ২০১৮ সালে ভারতের জমিতে তৈরি করেছে রাস্তা। এরপর তিনি, চিনা সেনার হাতে মিয়াম তারাওঁর অপহরণ নিয়ে সরব হন। এই ইস্যুতে নিরাপত্তা নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দাগেন অধীর। এদিকে, অরুণাচল প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরির বক্তব্যকে খণ্ডন করে অরুণাচলের সাংসদ বিজেপির কিরেন রিজিজু বলেন,' কোথাও কোনও আর্টিক্যালে কিছু লেখা হলে তা সত্যি হয়ে যায় না। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে এই খবরগুলি সত্যি নয়। ভারতের কোনও অংশ দখল করা হয়নি। '
এদিকে, অধীর চৌধুরীকে পাল্টা জবাব দিতে ওঠেন বিজেপি সাংসদ তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন,' সংসদে যে রেকর্ড রয়েছে তা দেশ ও বিশ্বের কাছে মান্যতাযোগ্য। আমি আর্জি জানাব এটা নজরে রাখতে যে, উনি (অধীর চৌধুরী) শুধু মিডিয়া রিপোর্ট উল্লেখ করছেন। এটা কোনও যাচাই করা তথ্য নয়। খবর পড়ে তিনি বড় বড় বিবৃতি দিচ্ছেন দেশের সীমান্ত নিয়ে, এটা সংসদে দাঁড়িয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ। '
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup