মার্কিন মুলুকে মামলায় তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে গৌতম আদানি, সাগর আদানিদের বিরুদ্ধে। তবে বিদেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের কোনও অভিযোগ নাকি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আনা হয়নি। শেয়ার বাজারের ফাইলিংয়ে এমনটাই জানাল বহুজাতিক সংস্থাটি। উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ঘুষ কাণ্ডে। এই আবহে এবার শেয়ার বাজার ফাইলিংয়ের মাধ্যমে পুরো বিষয় খোলসা করল আদানি গোষ্ঠী। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গৌতম আদানি, সাগর আদানিদের বিরুদ্ধে তিনটি ক্ষেত্রে অভিযোগ এনেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। তবে বিদেশি দুর্নীতি আইনে অভিযুক্ত নন আদানি। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ মামলায় কি এবার 'সেনাপতি' বদলাবেন সরকারি কর্মীরা? সামনে বড় আপডেট)
আরও পড়ুন: 'ভেঙে পড়ছে বাংলাদেশ...' বললেন সাধগুরু, চিন্ময় প্রভুর পাশে ধর্মগুরু রবি শঙ্করও
আরও পড়ুন: আমেরিকায় NIH ডিরেক্টর পদে বসবেন কলকাতায় জন্মানো জয় ভট্টাচার্য, ঘোষণা ট্রাম্পের
শেয়ার বাজার ফাইলিংয়ে আদানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিকিউরিটিজ জালিয়াতি ষড়যন্ত্র, অনলাইন লেনদেন জালিয়াতি ষড়যন্ত্র, এবং সিকিউরিটিজ জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে আদানির বিরুদ্ধে। তবে বিদেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের কোনও অভিযোগ নাকি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আনা হয়নি। এদিকে ভারতীয় সরকারি আধিকারিদের ঘুষ দেওয়ার মামলায় ইতিমধ্যেই গৌতম আদানি ও সাগর আদানিকে তলব নোটিশ পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তাষ্ট্রের সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন। আমদাবাদে শান্তিবন ফার্মে গৌতম আদানির বাড়িতে এবং বোড়াকেভে সাগর আদানির বাড়িতে এই তলব নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৬৫ সালের হ্যাগ কনভেনশন এবং ভারত-মার্কিন পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তির ফলেই আদানিকে এভাবে হুট করে তলবের নোটিশ পাঠাতে পারে না মার্কিন প্রশাসন। বিদেশি কোনও নাগরিককে এভাবে তলবের নোটিশ পাঠানোর এক্তিয়ার নেই সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের। আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে এই তলবের নোটিশ পাঠাতে হত মার্কিন শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে। (আরও পড়ুন: বেনজির আক্রমণ শানিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত, প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়ের জবাব - 'সরি...')
আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে ভারতের 'ধমকের' জবাব বাংলাদেশের, দিল্লিকে ঢাকা বলল…
উল্লেখ্য, ভারতের সরকারি আধিকারিকদের ২৬.৫ কোটি ডলারের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে আদানি এবং আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের বিরুদ্ধে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং কর্মকর্তাদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তবে আদানি গোষ্ঠী নিজেদের ফাইলিংয়ে দাবি করল, ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গৌতম আদানির নাম নেই। সেই অভিযোগে অভিযুক্ত আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের এক কর্তা এবং এক কানাডিয়ান বিনিয়োগকারী। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশি সনাতদীনের বিচার চাই, চিন্ময় প্রভু ইস্যুত ইউনুসকে কড়া বার্তা ইসকনের)
আরও পড়ুন: আর কয়েক সপ্তাহ পরেই সুপ্রিম কোর্টে উঠবে ডিএ মামলা, কজলিস্ট মিলবে কবে?
এর আগে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আদানি নাকি ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল। ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৬.৫ কোটির ডলারেরও বেশি ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে সৌরশক্তি সরবরাহের লাভজনক চুক্তি পেয়েছিল আদানি। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়। যদিও এই সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী।