প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় যাওয়ার জন্য ট্রেনের এসি কামরায় টিকিট বুক করেছিলেন কয়েকজন যাত্রী। কিন্তু, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় ট্রেনে উঠতে পারলেন না তারা। শেষপর্যন্ত তাদের ছাড়াই ট্রেন রওনা দিল। এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেন এক যাত্রী। ঘটনাটি বিহারের মুজাফফরপুর জেলার। যাত্রীর অভিযোগ, রেলের গাফিলতির জন্যই প্রয়াগরাজে যেতে পারেননি তিনি এবং তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজো-সহ ২ দিনে ১০৮ লোকাল ট্রেন বাতিল শিয়ালদা শাখায়, সময় ধরে তালিকা রইল
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী যাত্রীর নাম জনক কিশোর ঝা ওরফে রাজন। তাঁর অভিযোগ, গত ২৬ জানুয়ারি স্বাধীন সেনানী এক্সপ্রেসের এসি-৩ কামরায় তাঁরা উঠতে পারেননি। কারণ দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। গাইঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা ঝা- এর আরও অভিযোগ, যে বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাঁরা দরজা খুলতে পারেননি। রেলের কর্মীদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানানোর পরেও তাদের কাছ থেকে কোনও সহায়তা পাওয়া যায়নি। এরপর ট্রেন তাদের ছাড়াই রওনা দেয়।
বাজেটের লাইভ আপডেট: সংসদে পৌঁছলেন নির্মলা, তাঁর শাড়িতে লুকিয়ে কেন্দ্রীয় বাজেটের ‘ইঙ্গিত’?
ঘটনায় কিশোর ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী আধিকারিকের কাছে ১৫ দিনের মধ্যে সুদ সহ টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। তারপরেও রেলের তরফে কোনও সাড়া না পাওয়ায় তিনি আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করবেন।
কিশোরের যুক্তি, রেলের গাফিলতির কারণে তিনি এবং তাঁর পরিবার মহাকুম্ভে যোগদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যা ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, যে এই সুযোগটি হাতছাড়া করা শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক যন্ত্রণারও কারণ। তিনি বলেন, ‘আমি আমার শাশুড়ি এবং শ্বশুর মুজাফফরপুর থেকে প্রয়াগরাজ যাওয়ার জন্য টিকিট বুক করেছিলাম। ট্রেনটি যখন প্ল্যাটফর্মে আসে তখন কামরার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। আমরা অনেক চেষ্টা করেও ভিতরে উঠতে পারিনি।’
কিশোরের কৌঁসুলি এসকে ঝা জানান, পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় উপভোক্তা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, রেলওয়ের নিশ্চিত করা প্রয়োজন যাতে যাত্রীরা নির্ধারিত ট্রেনে নিরাপদে চড়তে এবং সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন। তা না হওয়ায় অভিযোগকারী আর্থিক, মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন। যেহেতু রেলওয়ে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে তাই একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যানকে টাকা ফেরতের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যদি তা মানতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা উপযুক্ত আদালতে যাব এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করব।’